ডেস্ক নিউজ
গত ২৫ জুলাই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৬ জুলাই ভোর থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মোচিত হয় সেতুটি। সেতুতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে বন্ধ রয়েছে মোটরসাইকেল চলাচল। তা না হলে টোল আরও বাড়তে পারত। উদ্বোধনের তিন মাসের মাথায় পদ্মা সেতুর টোল আদায় ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে। গত ২৬ জুন থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯২ দিনে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে মোট টোল আদায় হয়েছে ২০১ কোটি ১৩ লাখ ২৭ হাজার ৫০ টাকা। এই সময়ে সেতু পারাপার হয়েছে ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫২টি যানবাহন।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, সেতু দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার ৫৬৮ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, প্রতিদিন গড়ে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৬ লাখ ২৭ হাজার ১৭২ টাকা। সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের ০ দশমিক ৬৬ শতাংশের মতো উঠে এসেছে তিন মাসে কম সময়ে। এই হারে টোল আদায় হলে সেতুর নির্মাণ ব্যয় ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা উঠবে ৩৮ বছরে। প্রধানমন্ত্রীর আশা করছেন, ভবিষ্যতে এই রুটে গাড়ি বাড়বে এবং নির্মাণ ব্যয় ২০ বছরে উঠে আসবে। সেটি করতে হলে বর্তমান হারের চেয়ে টোল আদায় বাড়াতে হবে পৌনে দুই গুণ।
সেতু চালুর পর জুন মাসের ৫ দিনে ২৩ হাজার ৪২১ গড়ে পদ্মা সেতু পারাপার হয় মটরসাইকেলসহ ১ লাখ ১৭ হাজার ১০৪ টি যানবাহন। এই মাসের ৫ দিনে রাজস্ব আদায় হয় ১০ কোটি ১৪ লাখ ১ হাজার টাকা। জুলাই মাসে সর্বোচ্চ ৭৮ কোটি ৫০ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এই মাসে সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৮৭ হাজার ২০ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে প্রতিটি যানবাহন থেকে গড়ে ১ হাজার ৩৮৯ টাকা করে টোল আদায় করা হয়েছে।
এই মাসের ৩১ দিনে যানবাহন পারাপার হয় ৫ লাখ ৮৭ হাজার ২০টি, ওই মাসে টোল আদায় হয় ৭৮ কোটি ৫০ লাখ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা। আগস্টের ৩১ দিনে সেতু পারাপার হওয়া ৪ লাখ ১২ হাজার ৩০৩টি যানবাহন থেকে টোল বাবাদ আদায় হয় ৬১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪০০ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসের ২৬ দিনে সেতু পার হওয়া ৩ লাখ ৩১ হাজার ৪২৫টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয় ৫০ কোটি ৫১ লাখ ৭১ হাজার ৪০০ টাকা। এক দিনের হিসেবে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পারাপার হয় গত ১৬ জুন, আর টাকার অঙ্কে সর্বোচ্চ আদায় হয় গত ৮ জুলাই ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের আশা করছেন, কালনা সেতুর চালু হলে পদ্মা সেতুতে যানবাহনের চাপ আরও বাড়বে। প্রতিদিন গড়ে অতিরিক্ত অন্তত ৫০০ থেকে ৮০০ যানবাহন পারাপার হবে এই পথে। এতে আগামীতে সেতুর রাজস্ব আয় আরও অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।