ডেস্ক নিউজ
এদিকে ‘২০১৪-২০২২ সাল’-মাত্র আট বছরের ব্যবধানে দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। এর আগে সেতু নিয়ে দেশীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ও বিতর্ক মোকাবেলা করতে হয়েছে সরকারকে। তবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের নবেম্বর মাসে। আর এ কারণে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটে প্রথমবারের মতো সরকার পদ্মা সেতুর জন্য বাজেট বরাদ্দ দিয়েছিল। সেই থেকে শুরু হয়ে দ্রুতগতিতে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। শুরুতে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন অর্থনীতিবিদ ও শিল্পোদ্যোক্তা পদ্মা সেতুর জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করায় সামাজিক ও অবকাঠামো খাতে অন্যান্য অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তাদের সেই আশঙ্কার মধ্যেই দ্রুত এগিয়ে চলেছে সেতু নির্মাণের কাজ। এবার উদ্বোধনের পালা। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। এরপরই সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। সব ধরনের ষড়যন্ত্র ও বিতর্ক মোকাবেলা করে সমৃদ্ধির প্রতীক পদ্মা সেতু এখন আরও স্বপ্ন নয়, বাস্তব।
পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের আরেকটি নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।