নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারে ডিস ক্যাবল লাইনের কাজে বের
হওয়ার দুই কর্মিকে পিটালেন পুলিশ। যদিও এসময় ওই দুই কর্মির গলায় পরিচয়পত্র ও মুখে মাস্ক থাকা সত্ত্বেও তাদের লাঠি দিয়ে পিটালেন থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশের পিটানোতে আহত হয় গুরুদাসপুরে স্থানীয় হীরক সাটভিশন এ্যান্ড ইশতিয়াক ক্যাবল নের্টওয়াকে কর্মরত রুবেল ও রানা। এতে ক্যাবল অপারেটরদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রবিবার বেলা ১১টায় গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারে জনতা ব্যাংকের সামনের রোডে ওই ঘটনাটি ঘটেছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে চাঁচকৈড় বাজারে লকডাউন বাস্তবায়নে জনসমাগম ঠেকাতে থানার পুলিশ সদস্যগণ চাঁচকৈড় বাজারে টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় ক্যাবল অপারেটরে কর্মরত দুই সদস্য নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে এবং গলায় পরিচয়পত্র ও মুখে মাস্ক নিয়ে ক্যাবল লাইনের কাজে উদ্দেশে জনতা ব্যাংকের সামনের রোড দিয়ে যাচ্ছিছিলেন। এমন সময় পুলিশ সদস্যগণ রাস্তায় বের হওয়া স্থানীয় ক্যাবল অপারেটরের দুই সদস্যকে কোন প্রকার জিজ্ঞাসা না করেই লাঠি চার্জ করে বেধক মারধর শুরু করেন। পুলিশের মার থেকে বাঁচতে ওই দুই সদস্য চিৎকার শুরু করে এবং তারা বলতে থাকে স্যার, আমারা এখানকার স্থানীয় ক্যাবল অপারেটরে কাজ করি,দেখুন আমাদের গলায় পরিচয়পত্র ঝুলানো আছে। স্যার, আমরা কাজে বের হয়েছি।এই কথা বলা সত্ত্বেও তাদের আরো বেশি করে মারধর শুরু করে। পথিমধ্যে ওই রাস্তায় দিয়ে জনৈক এক ব্যক্তি যাওয়ার সময় বলতে থাকে স্যার, তারা দুইজনই এখানকার ক্যাবল অপারেটরে কাজ করে। পরে তাদের উপর মারধর বন্ধ করে ছেড়ে দেয়।
পুলিশের পিটনি খাওয়া দুই সদস্যকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন,আমরা সকালে ডিস লাইনের ক্রটি থাকায় ক্যাবল অফিস থেকে গলায় পরিচয়পত্র ও মুখে মাস্ক নিয়ে রাস্তায় বের হই। এমন সময় জনতা ব্যাকের সামনের রোডে গেলে গুরুদাসপুর থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য শাহ আলমসহ কয়েক পুলিশ সদস্য আমাদের কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করেই আমাদের উপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে। ক্যাবল লাইনে কর্মরত বলা সত্ত্বেও আরও বেশি চড়া হয়ে মারধর শুরু করে। পরে চিৎকার করে বললে এবং স্থানীয় এক ব্যক্তির কথা শুনে তারা আমাদের ছেড়ে দেয়।
স্থানীয় দুই ক্যাবল মালিক খালেদ হোসেন হীরক ও আব্দুল্লাহ শেখ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্যাবল অপারেটরের কর্মরত সদস্য গ্রাহকদের ডিস লাইনে সংযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে প্রতিনিয়ত মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। আমারা গ্রাহকদের কাছ থেকে মাসিক বিলও ঠিকমত পাচ্ছি না। নিজ হতে কর্মচারীদের মাসিক বেতন পরিশোধ করতে হচ্ছে। এভাবে আমাদের কর্মরত অপারেটরগণ হয়রানীর স্বীকার হলে ডিস লাইনের গ্রাহক সেবা দিতে আমরা ব্যর্থ হব। তারা এই ঘটনার বিচার দাবী করেন।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন. এমন ঘটনা আমি শুনেছি। এমন ঘটনা যেন,আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য সকল পুলিশ সদস্যগণকে ডেকে সতর্ক করে দিব।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন বলেন, এটি একটি দুঃখজনক বিষয়। অবিলম্বে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।