ডেস্ক নিউজ
করোনার বিধিনিষেধের কারণে টানা ৪ মাস ২০ দিন বন্ধ থাকার পর দেশের পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলছে বৃহস্পতিবার। একই সঙ্গে খুলছে বিমানের ফ্লাইট। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। রিসোর্ট, বিনোদন পার্ক, হোটেল-মোটেলের পক্ষ থেকে চলছে প্রচার-প্রচারণাসহ নানা ছাড়ের অফার। ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়িয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ দর্শনার্থী প্রবেশ ও স্বাস্থবিধি মানার শর্ত দিয়ে গত ১২ আগস্ট মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, রাজধানীর আশপাশে গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার রিসোর্টগুলোতে এখনো তেমন বুকিং হয়নি। তবে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলে চাপ শুরু হয়েছে। দীর্ঘ বিরতির পর অনেকেই সমুদ্র তীরে যেতে চাইছেন ছুটি কাটাতে। পর্যটক টানতে কক্ষ ভাড়া ও সেবার ওপর ৩০-৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস ও রেস্তোরাঁ মালিকরা। ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার জানান, ছাড়ের কারণে বেশ সাড়াও মিলেছে। বুধবার পর্যন্ত প্রায় ৩০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়েছে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব এমিউজমেন্ট পার্কস অ্যান্ড এট্রাকশনের (বাপা) সমন্বয়ক অনুপ কুমার সরকার জানান, নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পার্ক চালু করা হচ্ছে। তবে বিনোদন পার্কে আসা দর্শনার্থীদের জন্য আমরা আপাতত মূল্যছাড় দিচ্ছি না। অনেক দিন বিনোদন পার্ক বন্ধ থাকায় এ খাতের বিনিয়োগকারীরা বিপাকে পড়েছেন। এখন টিকে থাকার লড়াই চলছে। তিনি জানান, গত ৪ মাস ২০ দিন ধরে পার্কগুলো বন্ধ রয়েছে। এর আগেও প্রায় ৭ মাস পার্ক বন্ধ ছিল। ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ দর্শনার্থী প্রবেশ করার নিয়ম মেনে খোলা হবে। পুরো বিষয় তদারকির জন্য বাপা একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এই সেলের সদস্যরা বিভিন্ন পার্ক সরেজমিন পরিদর্শন করবেন।
বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেওয়ায় ঢাকা থেকে কক্সবাজার ও সিলেট রুটে দৈনিক ফ্লাইট সংখ্যা বাড়াতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে এয়ারলাইনসগুলো। বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ইউএস বাংলা ও নভোএয়ার প্রতিদিন ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা পথে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনার করছে। ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার থেকে তিনটি ফ্লাইটের অনুমতি পেয়েছেন তারা। তবে আরও বেশি ফ্লাইটের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, নভোএয়ার ওই রুটে প্রতিদিন ৬টি ফ্লাইট চালুর আবেদন করেছে বলে জানা গেছে।