ডেস্ক নিউজ
পায়রা সমুদ্রবন্দরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বোলার্ড পুল টাগবোট’। আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিসহ ৭০ টন এই টাগবোটটি সরবরাহ করবে খুলনা শিপইয়ার্ড।
সূত্র জানায়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধা নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পটি চার হাজার ৫১৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য গত ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারিতে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়।
প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপিতে টাগবোট কেনার কাজটি উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি উল্লেখ ছিল। পরবর্তী সময়ে পিপিআর ২০০৮-এর বিধি ৮৪ক(২) অনুযায়ী হোপ-এর অনমোদনক্রমে এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, কাজটি সম্পাদন করার লক্ষ্যে পিপিআর-২০০৮ অনুসরণ করে গত ৯ মার্চ দরপত্র এবং ১৮ এপ্রিল ও ৪ মে তারিখে সর্বশেষ সংশোধিত দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে ৯টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দলিল কেনে। দরপত্র জমা দেয়ার নির্ধারিত দিনে অর্থাৎ ২৭ মে তারিখে ছয়টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্র খোলা ও মূল্যায়নের লক্ষ্যে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক দুইজনসহ সাত সদস্যের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়। ২৭ মে তারিখে প্রাপ্ত দরপত্রগুলো গ্রহণ ও খোলা হয়। দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ছয়টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছেÑ আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড শিপওয়েজ লিমিটেড, খুলনা শিপইয়ার্ড, ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড, কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড, এফএমসি ডকইয়ার্ড অ্যান্ড মেক মেরিন (জিভি) এবং ভারতের কলকাতাভিত্তিক গার্ডেন রিচ শিপ বিল্ডিং এফআরএস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক সেগুলো মূল্যায়ন করা হয়। মূল্যায়নের সময় কমিটি দু’টি প্রতিষ্ঠানকে টেকনিক্যালি নন রেসপন্সিভ এবং দরপত্রের সব শর্ত পূরণ করায় বাকি চার প্রতিষ্ঠানকে রেসপন্সিভ বিবেচনা করে অনুমোদন দেয়।
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি আনন্দ শিপইয়ার্ড অ্যান্ড শিপওয়েজ লিমিটেড, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এবং ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড ও কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড এই চারটি প্রতিষ্ঠানকে টেকনিক্যালি রেসপন্সিভ ঘোষণা করে। এরমধ্যে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড ১৩১ কোটি ৭৩ লাখ ৪১ হাজার ৮৯৬ টাকা উল্লেখ করে সর্বনিম্ন দরদাতা বিবেচিত হয়, যা প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ১২.১৮ শতাংশ কম। দরপত্রের বৈধতার মেয়াদ চলতি বছরের ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ক্রয়প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে। সভাটি কাল বুধবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।