ডেস্ক নিউজ
বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে মাঝে মধ্যে সংকট দেখা দেয়। এটি দূর করতে ডাচ প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী বাংলাদেশের বেসরকারি খাত। এর মাধ্যমে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে পেঁয়াজ বিদেশে রফতানিও করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক দেশটির পেঁয়াজ উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীদের ক্লাস্টার ওনিয়ন ইমপ্যাক্টের সঙ্গে বৈঠক করেন।
কৃষিমন্ত্রী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আজ দারুণ একটি বৈঠক করেছি। এতে পেঁয়াজ উৎপাদনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশের বেসরকারি খাত। এর মাধ্যমে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে রফতানিও করা যেতে পারে।’
আব্দুর রাজ্জাক জানান, কৃষি খাতে সমৃদ্ধ নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করতে চায় বাংলাদেশ সরকার। এজন্য শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি খাতকেও সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নেদারল্যান্ডসে চার দিনব্যাপী সফরে কৃষিমন্ত্রী একটি বেসরকারি প্রতিনিধি দল নিয়ে গেছেন যারা সরাসরি দেশটির সঙ্গে ব্যবসা করতে প্রস্তুত। তার সঙ্গে আছেন বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি প্রাণ, স্কয়ার, জেমকন এবং এসিআই কর্মকর্তারা।
নেদারল্যান্ডসের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রীর সফরসঙ্গী বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত চার দিন আমরা সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। প্রাণ, স্কয়ার, জেমকন এবং এসিআইয়ের মতো বড় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও ডাচ বেসরকারি খাতের আলোচনা হয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে হেগে দূতাবাস আয়োজিত বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস এগ্রিকালচার কনক্লেভে আমরা তাদেরসহ অন্যান্যদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।’
বাংলাদেশের বেসরকারি খাত নেদারল্যান্ডসে আরও বেশি করে সম্পৃক্ত হলে তাদের সম্পর্কে যে অস্পষ্ট ধারণা রয়েছে ডাচদের মধ্যে তা দূর হবে বলে মনে করেন রাষ্ট্রদূত।
কোন কোন খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা কয়েকটি খাতকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে ডেইরি, লাইভ স্টক, হর্টিকালচার ও ফিশারিজ।’
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, আগামী বছর নেদারল্যান্ডস থেকে একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে। তিনি বলেন, ‘কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ওয়েগনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট লুইস ফ্রেসকোর বৈঠক হয়েছে। তিনি আগামী বছর ঢাকায় আসতে সম্মতি জানিয়েছেন। ফ্রেসকোর মতো কৃষি খাতে বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ঢাকায় গেলে বাংলাদেশি বেসরকারি খাতকে আরও গুরুত্ব দিতে নেদারল্যান্ডসের বেসরকারি খাতকে একটি বার্তা দেওয়া হবে।’
রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টিতে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্য সুবিধার বিষয়টি জোটে অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে আলোচনা করেছেন কৃষিমন্ত্রী। আগামী ১৭ নভেম্বর প্রস্তাবিত জিএসপি নীতি নিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের বক্তব্য ব্রাসেলসে উপস্থাপন করবে বলে তাদের জানানো হয়েছে।