তারা সবাই ইনস্টাগ্রামের ইনফ্লুয়েন্সার নামেই পরিচিত। দিন দিন যেমন তাদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, তেমনি প্রতিটি ছবি ও আর্টিকেল পোস্ট থেকে আয়ের পরিমাণও বাড়ছে।
জই সাগ, গায়িকা রিতা ওরা এবং মডেল হোসিয়ে হাটিংগনসহ আরও অন্তত ১৬ জন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে সুপরিচিত। যারা তাদের অ্যাকাউন্টে কোনো ছবি বা নিবন্ধ পোস্ট করার বিনিময়ে অর্থ নিয়ে থাকেন।
মার্কেটিং ফার্ম ইজেয়া ইনস্টাগ্রামে স্পন্সর ছবি পোস্ট করার জন্য এসব তারকরা যে অর্থ নেয় সেটি এখন অনেক বেড়েছে বলে দেখিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে ২০১৪ সালে গড়ে ১৩৪ মার্কিন ডলার নিলেও এখন তারা পাচ্ছে গড়ে এক হাজার ৬৪১ মার্কিন ডলার।
বিজনেস ইনসাইডার বলছে, বিভিন্ন ব্র্যান্ড এসব ইনস্ফুয়েন্সারদের পোস্ট, ছবি, স্টোরিজ কিংবা ব্লগ লেখার জন্য আগের চেয়ে অনেক হ্যান্ডসাম অর্থ দিচ্ছে।
তবে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এর ফলে প্রথাগত যে বিজ্ঞাপন সেখানে যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে না সেটাও নয়।
তারা বলছেন, এখন বিষয়টি একে অন্যের সঙ্গে মিলে গেছে। এক শ্রেণীর মানুষকে লক্ষ্য করে কিছু বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে প্রথাগত, আবার আরেক শ্রেণীকে টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দিতে হচ্ছে এসব মাধ্যমে।
ইনস্টাগ্রামের যাদের সর্বনিম্ন এক লাখ ফলোয়ার রয়েছে তাদের ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে এদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের এক লাখের বেশি ফলোয়ার হলেও কোনো স্পন্সর বিজ্ঞাপন পান না।
মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানটির এক হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ইনস্টাগ্রামের স্পন্সর ছবি পোস্ট করার জন্য খরচ এখন গত বছরের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেড়েছে।
স্পন্সর ব্লগ পোস্ট একটির জন্য ২০০৬ সালে যেখানে খরচ হতো ৭.৩৯ ডলার, এখন খরচ করতে হচ্ছে এক হাজার ৪৪২ ডলার।
সবচেয়ে বেশি স্পন্সর পোস্ট করতে ব্যয় করতে হয় ইউটিউবে। সেখানে একটি স্পন্সর পোস্ট করতে ৬ হাজার ৭০০ ডলার খরচ করতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। যা ২০১৪ সালে ছিল ৪২০ মার্কিন ডলার।
ফেইসবুক স্ট্যাটাস দিতে এখন এসব ইনফ্লুয়েন্সাররা পোস্ট প্রতি নেন ৩৯৫ মার্কিন ডলার। যা ২০১৪ সালে ছিল মাত্র ৮ ডলার। টুইটারে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২২ ডলার।