ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে ৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকায় ২৬ জন ভিক্ষুককে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে একটি করে গাভী দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বাগমারা উপজেলা পরিষদে ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মাধ্যমে উপজেলার ২৬ জন ভিক্ষুককে নির্বাচিত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফ আহম্মেদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের উপজেলার সমন্বয়ক আজাহার আলী প্রমুখ।
বয়স বিবেচনায় তাঁদের ছোট-বড় গাভী দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গাভী বহন করে বাড়িতে নেয়া ও খাবার কেনার জন্য নগদ অর্থও সহায়তা করা হয়েছে। গাভী হাতে পেয়ে কেউ কেউ আনন্দে কেঁদে ফেলেন। বৃদ্ধ রোকেয়া বেওয়া দীর্ঘদিন ধরে ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত। গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভিক্ষা করে চলে তাঁর সংসার। এই কাজ ভালো না লাগলেও অভাবের তাড়নায় ছাড়তে পারেন না। এত দিন বড় ধরনের কোনো সহযোগিতাও মেলেনি তাঁর।
বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদে ডেকে রোকেয়া বেওয়ার হাতে ভিক্ষার বদলে উপহার হিসেবে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে একটি গাভী। এমন উপহার পেয়ে বেজায় খুশি তিনি। ৬৭ বছর বয়সী রোকেয়া বেওয়ার বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভানসিপাড়া গ্রামে। রোকেয়ার মতো বাগমারার আরও ২৫ জন পেয়েছেন ভিক্ষার বদলে গাভী উপহার। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে এসব উপহার পৌঁছে দেয়া হয়।
ইউএনও শরিফ আহম্মেদ বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ভিক্ষুকদের গাভীগুলো দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসন করে উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে।