ডেস্ক নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানিয়ারচরের চেঙ্গি নদীর ব্রিজ উদ্বোধন করবেন আজ বুধবার। প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়াল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বহু দিনের প্রত্যাশিত এই ব্রিজটি উদ্বোধনের মাধ্যমে জন সাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এটি উদ্বোধনের মধ্যেমে ৫টি উপজেলার ৩ লক্ষাধিক পাহাড়ী বাঙালীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে। এটি হবে তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও দীর্ঘতম সেতু। সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ও রাঙ্গামাটি সড়ক বিভাগ সূত্রের তথ্য মতে, ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ দশমিক ২ মিটার প্রস্থ এই সেতু নির্মাণে প্রায় ১২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সেতুর দুই পাশের্^ দুই কিলোমিটার সংযোগ সড়কের জন্য ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় করা হয়। ২০১৭ সালের ১৬ নবেম্বর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবি। তারা অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এই সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেছে। সেতু উদ্বোধনকে ঘিরে আশপাশের এলাকায় উৎসবের আমেজ বইছে। প্রতিনিয়ত শত শত লোক সেতুর দুই প্রান্তে এসে সেতুটি এক নজর দেখে যাচ্ছে। এটিকে নানান রঙে সাজানো হয়েছে। রাতে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করা হয়েছে সেতুটি। দৃষ্টিনন্দন এই নানিয়ারচর সেতুটি দেখার মতো। সেতুটি উদ্বোধন উপলক্ষে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলার নানিয়ারচর সেতু এলাকায় আয়োজন করা হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশাল প্যান্ডেল। যেখানে উপস্থিত থাকবেন রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপঙ্কর তালুকদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ২০ ইসিবির কর্মকর্তাসহ জন প্রতিনিধি, সামরিক, বেসামরিক উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এই নানিয়ারচর সেতু চালু হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষের পারাপারের দীর্ঘদিনে ভোগান্তি অবসান হচ্ছে। ঢাকার সঙ্গে এ অঞ্চলের নিবিড় যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও উন্নতিসহ পর্যটনশিল্পের বিকাশ ঘটবে। রাঙ্গামাটি থেকে সাজেকের দূরত্ব কমে যাবে। নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা বলেন, এই এক সেতুর মাধ্যমে আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। আমরা এখন খুব আনন্দিত। নানিয়ারচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরজামাল হাওলাদার বলেন, এক সেতুতেই আমাদের ৫ উপজেলার ভাগ্য পরিবর্তন হতে যাচ্ছে।