ডেস্ক নিউজ
চাহিদার তুলনায় দেশে পেশাদার গাড়িচালকের অভাব থাকায় এবার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এক লাখ ২ হাজার ৪০০ জন পেশাদার গাড়িচালক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সারাদেশে ৬৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ ও অটোমেকানিক্স প্রশিক্ষণ কোর্স চালুর মধ্য দিয়ে এই অধিক সংখ্যক চালক তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য একনেকে প্রস্তাব দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মোট ২৬৭ কোটি ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ব্যয়ে সরকারের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পের আওতায় নারীরাও এই সুযোগ পাবেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি বছরের জুলাইতে শুরু হওয়া প্রকল্পটি ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি ২০১৯-২০ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত থাকলেও এবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ পাবেন ১ লাখ ২ হাজার ৪০০ জন। কেনা হবে ১২৮টি ডাবল কেবিন পিকআপ, ৮টি ট্রাক ও ১টি মাইক্রোবাস। এছাড়া কেনা হবে প্রশিক্ষণ যন্ত্রপাতি ৩ প্রকারের ১৯২টি, অফিস যন্ত্রপাতি ৭ প্রকারের ২১টি। দক্ষ চালক তৈরিতে প্রশিক্ষক ও জনবল নিয়োগ করা হবে।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রকল্পটি ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ, প্রকল্পটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন (এসডিজি)’র টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট সর্বত্র সব ধরনের দারিদ্র্যের অবসান, সবার জন্য পূর্ণাঙ্গ ও উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান, শোভন কর্মসুযোগ সৃষ্টি, স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের কৌশলের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশ ও বিদেশের উপযোগী ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রকল্পের আওতায় দেশের বেকার যুবক ও যুব নারীরা ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে ভূমিকা রাখবে।
তিনি জানান, দেশের ৬৪ জেলায় বিদ্যমান কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তরুণদের ড্রাইভিংয়ের পাশাপাশি অটোমেকানিক্সের প্রশিক্ষণও দেয়া হবে, যাতে চলতি পথে হঠাৎ কোন যানবাহন বিকল হলে তাৎক্ষণিকভাবে মেরামত করতে পারেন।