ডেস্ক নিউজ
শিক্ষাব্যবস্থায় কমে এসেছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের তৎপরতা। চলতি বছরের শুরু থেকে বর্তমান সরকারের কঠোর পদক্ষেপে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো অপতৎপরতা থেকে মুক্ত হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা। গ্রেফতার করা হয়েছে অসংখ্য কুচক্রীদের। এমন প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিলো, বিগত সময়ে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বাহিনীর তথ্য মতে, সারা দেশে যারা এখনো এই অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাদের তথ্যও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে রয়েছে। তারা যদি কোনোভাবে অপতৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করে তবে সঙ্গে সঙ্গেই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে, তাদের গ্রেফতার করা হবে।
এ প্রসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, বছরের শুরু থেকে সরকারের নির্দেশ মোতাবেক প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হয়। যা এখনো হালনাগাদ করা হচ্ছে। সেই তালিকা অনুযায়ী মুষ্টিমেয় ব্যক্তিকে সাজার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে কিন্তু হাতেনাতে প্রমাণ মেলেনি তাদের কঠোর নজরদারিতে রেখেছি আমরা। তারা এই অপতৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করলেই গ্রেফতার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয়, এ পর্যন্ত যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রশ্নফাঁস এবং এ সংক্রান্ত গুজবে সোচ্চার ছিলো, তাদের আলাদা ডাটাবেজ অনুযায়ী তাদের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। শুধু এমবিবিএস নয়, যেকোনো পরীক্ষাতেই এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট তথ্যসূত্রে জানা গেছে, মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার মান সমুন্নত রাখতে কোনো আপোষ করবে না সরকার তথা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ভর্তি পরীক্ষার আগে ভুয়া প্রশ্নপত্র বানিয়ে নিরীহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে প্রতারণার অপকৌশল বন্ধ করতে সকল ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। তবে শুধু প্রশাসনিক নয়, সকল ধরণের পরীক্ষায় দুর্নীতি ও প্রশ্ন ফাঁসের মতো ব্যাধি রোধ করতে হলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরও সচেতনতা প্রয়োজন বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।