ডেস্ক নিউজ
প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগের মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছে আদালত। এর মধ্য দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম হাসিবুল হকের আদালত সোমবার আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।
আগামী ৩০ মার্চ মামলার পরবর্তী তারিখ ঠিক করা হয়েছে বলে জানান শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মহিউদ্দিন রানা ও আবদুল্লাহ আল মামুন নামে দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
পরদিন তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ) ধারায় মামলা করে সিআইডি।
২০১৯ সালের ২৩ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি সুমন কুমার দাস দুই মামলায় চার্জশিট জমা দেন। অভিযোগপত্রে ১২৫ জনের মধ্যে ৮৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিসিএস, ব্যাংক ও বিভিন্ন সংস্থার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলাটি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, মামলায় ৪৬ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।