ডেস্ক নিউজ
ফসল বাণিজ্যিকীকরণ ও উত্পাদনশীলতা বাড়াতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ৫০ মিলিয়ন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা) একটি প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশের আম, আনারস, কলা, টম্যাটো, আলু ও শাকসবজি প্রভৃতি রপ্তানি এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের সম্ভাবনা অনেক। এগুলোকে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে নিয়ে যেতে চাই, রপ্তানি করতে চাই। এক্ষেত্রে এডিবির সহযোগিতা প্রয়োজন।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিন্টিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠকে পূর্বাচলের দুই একর জমিতে আধুনিক প্যাকিং হাউজ নির্মাণ ও আধুনিক টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে এডিবির আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিন্টিং কৃষি খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, হাওরাঞ্চলসহ প্রতিকূল পরিবেশে কৃষির উন্নয়ন, কৃষি পণ্যের রপ্তানি, সেচের পানির ইফিসিয়েন্সি বা সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি এবং গবেষণা খাতকে শক্তিশালী করতে এডিবি সহযোগিতা প্রদান করবে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, এডিবির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবো নিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এডিবির ৫০ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়নে ‘ফসল বাণিজ্যিকীকরণ ও উত্পাদনশীলতা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণের কাজ চলছে। এর আগে এডিপির অর্থায়নে ‘শস্য বহুমুখীকরণ’ শিরোনামে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।