নিউজ ডেস্কঃ
শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বর্বরোচিত ও নৃশংস গ্রেনেড হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াত। হামলার পরিকল্পনা হয় হাওয়া ভবনে।
এতে প্রাণ হারান তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পত্নী আইভি রহমানসহ ২৪ জন। অল্পের জন্য বেঁচে যান শেখ হাসিনা।
প্রাণপ্রিয় নেত্রীকে বাঁচাতে নেতাকর্মীরা তৈরি করে রাখে মানবঢাল। তবে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে শ্রবণশক্তি আঘাতপ্রাপ্ত হয় তার। এতে অন্তত ৫০০ জন আহত হয়।
এই ঘটনায় ২২ আগস্ট মতিঝিল থানায় মামলা হয়। ২০০৫ সালে মামলার হোতাদের বাঁচাতে সাজানো হয় জজ মিয়া নাটক। তবে সে ঘটনাও ফাঁস হয়ে যায়।
প্রায় চার বছর পর ২০০৮ সালের ৯ জুন অভিযোগপত্র দেয়া হয়। তদন্ত শেষে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয় ২০১১ সালের ২ জুলাই।
ওই ঘটনায় হত্যা, হত্যা চেষ্টা, ষড়যন্ত্র, ঘটনায় সহায়তাসহ বিভিন্ন অভিযোগে একটি মামলা যাতে আসামি সংখ্যা মোট ৫২ জন। একই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে (সংশোধনী-২০০২) অপর একটি মামলায় আসামি সংখ্যা ৩৮ জন।
মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ তথা বিচার শুরু হয় ২০১২ সালের ৯ জুলাই। মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয় ২০১৭ সালের ৩০ মে। এতে রাষ্ট্রপক্ষে ২২৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেয়।
২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক শুরু করে টানা ২৫ কার্যদিবস ফ্যাক্টস-এর আলোকে যুক্তিতর্ক পেশ করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর টানা ৮৭ কার্যদিবস আসামীপক্ষ ফ্যাক্টস এর আলোকে যুক্তিতর্ক পেশ করেছে। টানা ১১৯ কার্যদিবস যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর মামলার রায় হয়।
রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত।