ডেস্ক নিউজ
দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী প্রকল্প বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে এ বছরই গাড়ি চলবে। এরই মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত টানেলের কাজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৭৬ শতাংশ। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি- বর্তমানের কাজের গতি ধরে রাখতে পারলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই কর্ণফুলী নদীর তলদেশ উন্মুক্ত হবে যান চলাচলের।
বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রত্যাশিত গতিতে চলছে টানেল তৈরির কাজ। আশা করছি, কাজের শিডিউল অনুযায়ী নির্ধারিত সময় ডিসেম্বরের মধ্যে টানেল যান চলাচলের উপযোগী হবে।’ কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম টানেলকে ঘিরে চলছে বিরামহীন কর্মযজ্ঞ। দেশি-বিদেশি শ্রমিকরা নদীর তলদেশকে রূপান্তর করার যজ্ঞ করছে দিন-রাত। এরই মধ্যে নদীর তলদেশে প্রথম টিউবটির ২৪৫০ মিটারের মধ্যে ২৪৩০ মিটার ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই প্রথম টিউবের বাকি ২০ মিটার ঢালাইয়ের কাজ শেষ হবে। দ্বিতীয় টিউবটিও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া দুই প্রান্তের সংযোগ সড়ক, ওভারব্রিজ এবং সড়ক সম্প্রসারণের কাজ ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজ চলছে দ্রুততার সঙ্গে। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সিএমপি আপত্তি তোলায় পরির্বতন করা হচ্ছে নকশার। চীনের সাংহাই নগরীর আদলে চট্টগ্রাম শহর ও আনোয়ারাকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’র আদলে কর্ণফুলী নদীতে তৈরি হচ্ছে টানেল। মেগা এ প্রকল্পের একপ্রান্তে রয়েছে চট্টগ্রাম নগরী, বিমান ও সমুদ্রবন্দর। অপরপ্রান্তে আনোয়ারার ভারী শিল্প এলাকা। বিভক্ত দুই অংশকে সাংহাইয়ের আদলে একই সুতোয় যুক্ত করতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ও চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক এ প্রকল্পে যৌথ অর্থায়ন করছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। প্রকল্পটি পুরোদমে চালু হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম তথা দেশের অর্থনীতি। বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে শিল্প-কারখানা ও পর্যটনশিল্পে। টানেল পুরোদমে চালু হলে প্রতিদিন গড়ে ১৭ হাজার গাড়ি চলাচল করবে। প্রতি বছর ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে যান চলাচল। এই হিসাবে ২০৩০ সালে কর্ণফুলী টানেল দিয়ে যান চলাচল করবে গড়ে ৩৮ হাজার।