নাটোরের বড়াইগ্রামে শিক্ষা কর্মকর্তাকে মারধর ও প্রাণনাশের মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে নিজ নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের শের আলীর ছেলে ওসমান গণি, ফজলুল হকের ছেলে আবু বক্কর ও উপলশহর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে জুয়েল রানা।গ্রেফতারকৃতদের আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বাদী হয়ে তার ওপর হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান শুরু করে পুলিশ। অজ্ঞাত আসামিদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আসামীরা পলাতক রয়েছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই মামলার প্রধান আসামীসহ অন্যান্যদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল আযম বলেন, ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে ওসমান গনি, আবু বক্কর ও জুয়েল রানাকে বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত কেউ এজাহার নামীয় আসামি নয়। তবে ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফের কার্য্যালয়ে প্রবেশ করে তার হাত কেটে নেওয়ার হুমকি সহ শারীরিকভাবে লাঞ্চিত ও অফিসের জরুরী কাগজপত্র তছনছ করেন স্থাণীয় সংসদ সদস্য ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর আপন ৩ ভাগনেসহ ৩০/ ৩৫ যুবক। এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩০/৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।