বরগুনা জেলার পাথরঘাটা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের সমর্থকদের হামলায় সাংবাদিক ও পুলিশসহ প্রায় শতাধিক আহত হয়েছেন। সহকারী পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) মো. তোফায়েল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টার সময় পাথরঘাটা থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সবাইকে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশের অনুমতি নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল তার সমর্থকদের নিয়ে পাথরঘাটা পৌর শহরে মিছিল বের করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্ত করে দুদিকে সরিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পরেই তালতলা এলাকা থেকে প্রায় ৪ শতাধিক নারী-পুরুষ ‘সোহেল ভাইয়ের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’ এই স্লোগান দিয়ে দেশীয় অস্ত্র রামদা, রড, জিআর পাইপ ও লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকের ওপর হামলা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫০ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পাথরঘাটা থানার ওসি শাহাবুদ্দিনসহ প্রায় ২০ জন পুলিশ এবং দৈনিক আমাদের সময় ও সমকালের দুই সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের শতাধিক আহত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের ১২ জনকে আটক করা হয়।
পাথরঘাটা সার্কেল তোফায়েল আহমেদ সরকার বলেন, চার শতাধিক নারী-পুরুষ সশস্ত্র অবস্থায় মিছিল করে থানা ঘেরাও করতে আসলে পুলিশ বাধা দেয়। অপরদিকে থানার বিপরীত দিকে পাথরঘাটা শেখ রাসেল স্কয়ারে আওয়ামী লীগের সমর্থনের লোকজন অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের হামলায় পাথরঘাটা থানার ওসি শাহাবুদ্দিনসহ ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার আবুল ফাতাহ জানান ওসি শাহাবুদ্দিনের অবস্থা গুরুতর। তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হবে।