নিজস্ব প্রতিবেদক:
এমএফএস’র কমছে গ্রাহক, বাড়ছে লেনদেন। দিনকে দিন বাড়ছে মোবাইলে লেনদেন। লেনদেন বাড়লেও কমছে গ্রাহক সংখ্যা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে, বছরের শুরুর ৩ মাস মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন করেছে এমন কার্যকর গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৭৩ লাখ। সেটি মার্চের শেষে ১৩ শতাংশ কমে গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৪ লাখ।
গ্রাহক কমে যাওয়াটাকে ভালো চোখে দেখছেন না এই খাতের সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, এই ধরনের সেবাগুলোতে যেখানে গ্রাহক উন্নতির দরকার, সেখানে আমাদের গ্রাহক কমছে এইটা আমাদের চিন্তার বিষয় ।
তবে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, তারা যাচাই-বাছাই করছে, ফলে অনেকের অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম আনুযারী, একটি এনআইডি থেকে একটির বেশি অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে না। যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় একটি এনআইডি থেকে একাধিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, সব মিলে দিনে এখন গড়ে ১১’শ থেকে ১২’শ কোটি টাকার লেনদেন হয়। তবে কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কত লেনদেন হয় তা যায়নি।
বিকাশ জানায়, শুরুর দিকে তারা মূলত টাকা পাঠানোর মাধ্যম হিসেবে শুরু করলেও এখন তারা আরও অনেক সেবা নিজেদের নেটওয়ার্কে নিয়ে এসেছে। সামনের দিনে আরও সেবা যুক্ত হবে।
মার্চ মাসের হিসাব অনুসায়ী, দেশে ১৬টি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেনদেন করার অনুমোদন রয়েছে। মার্চে দিনে গড়ে এক হাজার ১১৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মার্চের শেষে তিন কোটি ২৪ লাখ কার্যকর সংযোগ থাকলেও মোট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৭৫ লাখ। বিকাশ, নগদ, রকেটসহ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর মধ্যে শুধু বিকাশেরই রয়েছে তিন কোটি অ্যাকাউন্ট।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সীমা বেড়ে দ্বিগুণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই বাড়ানোর কারণ ব্যাখা করেন ব্যাংকটি, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) একটি ক্রম বিকাশমান সেবা, যা বিগত কয়েক বছর যাবৎ আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।
দেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির সাথে তাল মিলিয়ে এ সেবা বর্তমানে নতুন খাত সম্প্রসারণে যেমন, ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে আগত রেমিটেন্স বিতরণ, ই-কমার্স, ক্ষুদ্র ব্যবসা, বেতন বিতরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।