ডেস্ক নিউজ
ভারত সীমান্ত দিয়ে কিছু মানুষকে বাংলাদেশে ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বিএসএফের পুশইনে বাংলাদেশীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশী নাগরিক না হলে কেউ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। বাংলাদেশী ছাড়া কাউকে সীমান্ত দিয়ে দেশের মাটিতে ঢুকতে দেয়া হবে না। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্তে প্রস্তুত রয়েছে। অবৈধভাবে পুশইনের চেষ্টা বিজিবি প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তারা সেই প্রস্তুতি নিয়েই সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পুশইনের (অনুপ্রবেশ) প্রচেষ্টা বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রসঙ্গত, ভারতের আসামে নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পর তাতে বাদ পড়াদের বাংলাদেশী হিসেবে চিহ্নিত করে ফেরত পাঠানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। আসামের নাগরিকপঞ্জি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভাবনার কিছু নেই বলে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে বলা হলেও গত কিছু দিন ধরে ঝিনাইদহ সীমান্ত দিয়ে বেশ কিছু মানুষকে বাংলাদেশে ঢোকানো হচ্ছে। ঝিনাইদহের শুধু মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে আসা ২৩৮ জনকে গত নভেম্বর মাসে আটক করেছে বিজিবি।
এ দিকে ভারত থেকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং মাদক, চোরাচালান ও মানবপাচার রোধ করতে বিজিবির সাথে রাত জেগে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন রাজশাহীর পবা উপজেলার চরখানপুর গ্রামবাসী। সীমান্তে নজরদারি জোরদার করতে গ্রামের বাসিন্দারা টর্চলাইট ও লাঠি হাতে নিয়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পালা করে পাহারায় থাকছেন।
বিভিন্ন সীমান্তের এমন ‘পুশব্যাক’ চেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের বিজিবি কয়েক জায়গায় এদের ঢুকতে দেয়নি, অ্যালাও করেনি। আমরা দেখেছি, বিগত দিনে বিভিন্ন সময়েও ৫ জন, ১০ জন কিংবা ২৫-৫০ জন করে তারা বাংলাদেশে পুশইন করানোর জন্য চেষ্টা করেছিল। তারা রোহিঙ্গাদেরকেও পুশইন করার একটা প্রচেষ্টা নিয়েছিল। রোহিঙ্গারা বিভিন্নভাবে ভারতের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে ভারতের ঢুকে গিয়েছিল। তারা বাংলাদেশে চলে আসতে চেয়েছিল, তাদেরকে আমরা ঢুকতে দিইনি।
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সংখ্যা বাড়িয়ে বলা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এদের সংখ্যা হাজার হাজার নয়, কয়েক শত। বিষয়টি আতঙ্কের মনে করছেন কি না- এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, এটা মোটেই আতঙ্কের বিষয় নয়। আমরা কোনোভাবেই বাংলাদেশী অধিবাসী ছাড়া কাউকে বাংলাদেশের মাটিতে ঢুকতে দেবো না। আমাদের বিজিবিও সচেতন আছে। আমাদেরকে নিশ্চিত হতে হবে তারা যদি বাংলাদেশী নাগরিক হয়, তাহলে আমরা তাদের রিসিভ করতে পারি।