ডেস্ক নিউজ
চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেছেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধে পাশে থাকা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতিতে ভারত সরকার আনন্দিত।’
রবিবার সকালে টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবন চত্বরে ভারত সরকারের উপহার দেওয়া অত্যাধুনিক লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্স প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মেয়রের কাছে অ্যাম্বুল্যান্সের চাবি হস্তান্তর করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, ‘আমার কূটনৈতিক জীবনে চট্টগ্রামে দীর্ঘ চার বছর সময় অতিবাহিত করলাম। এর আগে ঢাকায়ও কাজ করেছি। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ বছরের মতো বাংলাদেশে আমার কর্মজীবন কাটল। এই সময়টুকু আমার বেশ আনন্দে কেটেছে। তবে এর মধ্যে চট্টগ্রামে আমার বেশ ভালো সময় অতিবাহিত হয়েছে। কারণ এখানকার অধিবাসীরা অতিথিপরায়ণ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যে অ্যাম্বুল্যান্সটি উপহার দিলাম তাতে নতুন অত্যাধুনিক জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি রয়েছে। এটি রোগীদের মানসম্মত জরুরি সেবা ও ট্রমা লাইফ সাপোর্ট প্রদানে প্যারামেডিক এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সাহায্য করবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বছরের শুরুতে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের কাছ থেকে উপহার পাওয়া নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার। এ ধরণের উপহার যে কাউকে আনন্দিত করবে। ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র। প্রতিবেশী হিসেবে একটি রাষ্ট্রের যে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন অতীতেও ভারত তা রেখেছে। যার প্রমাণ আমরা ১৯৭১-এ পেয়েছি। সাম্প্রতিক করোনাকালেও তারা টিকা উপহারসহ স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আমাদের পাশে আছে। যার মধ্যে পিপিই কিট, চিকিৎসা সরঞ্জাম, টেস্টিং কিট ইত্যাদি অন্যতম।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন তা ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে আগামীতেও বিরাজ করবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম। বক্তব্য দেন সচিব খালেদ মাহমুদ ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।
চসিক থেকে জানানো হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছর মার্চে বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশকে ১১৯টি বিশেষায়িত অত্যাধুনিক অ্যাম্বুল্যান্স উপহার দেওয়ার কথা ছিল। এ ধারাবাহিকতায় চসিক এই অ্যাম্বুল্যান্স উপহার পেল। তাতে আইসিইউ সুবিধাসহ ট্রমা রোগীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে বলে চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অফিস সূত্রে জানা যায়।