আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রম্নয়ারি মাসের মধ্যে অক্সফোর্ডের আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের তিন কোটি ভ্যাকসিন দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, এজন্য কয়েকশ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পেতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার।
শনিবার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা কমপেস্নক্সের সম্মেলন কক্ষে জেলা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সচিব সভায় আরও বলেন, স্বাস্থ্য খাতে ৫৪ হাজার কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। আশা করছি স্বাস্থ্য খাত অনেক দূর এগিয়ে যাবে। ৮৭ হাজার ডাক্তার সারাদেশে কাজ করে যাচ্ছে। মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন বলেও তিনি জানান।
দেশের স্বাস্থ্য খাতকে অনিয়ম ও দুর্নীতি থেকে মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার-জানিয়ে আবদুল মান্নান বলেন, একজন
ড্রাইভারের যদি ২৩টি ফ্ল্যাট থাকতে পারে এর চেয়ে দুঃখজনক কী আছে। এরা করোনার চেয়ে ভয়াবহ।
স্বাস্থ্য সচিব আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবা গ্রহীতাদের সেবা চাই। এ নিয়ে কোনো আপস হবে না। আমাদের মেডিকেল যন্ত্রপাতির অভাব নেই কিন্তু যন্ত্রপাতি চালানোর মতো টেকনিশিয়ানের সংকট রয়েছে। সেই সংকট দূরীকরণে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যেন কোনো রোগীই সেবা থেকে বঞ্চিত না হন।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়া, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাজরিনা তৈয়বা, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সাংবাদিক সাইফুল হক মোলস্না দুলু প্রমুখ। মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদির মিয়া।
এর আগে স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান সদর উপজেলার অধীন বুরুঙ্গারচর কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। তারপর ভিটামিন এ+ ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন।