নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ৩ জন গরু চোরকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে চুরি যাওয়া ১৭ টি গরু-ছাগল পাশের গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জামনগর এলাকা থেকে তাদের আটকের পর বুধবার এসব গবাদী পশু উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আটকতরা, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গোচর গ্রামের নাজের আলীর ছেলে মামুন হোসেন , একই গ্রামের কায়েম উদ্দিনের ছেলে আল মামুন ওরফে কালু ও চারঘাট উপজেলার দাসের চক গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম।
জামনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে জামনগর ত্রিমোহিনী গ্রামের নবাব আলীর বাড়িতে চুরি করতে যায় কয়েকজন চোর। এসময় বাড়ীর সদস্যরা চোরদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তারা চিৎকার শুরু করে। এ সময় চোর চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে গ্রামবাসী বেড়িয়ে চোরদের ধাওয়া করলে দুইজন চোরকে আটক করতে সক্ষম হয় গ্রামবাসী। পরে দুই চোরকে গনধোলাই দিলে তারা চুরির কথা স্বীকার করে এবং পালিয়ে যাওয়া অপর চোরের সন্ধ্যায় দেয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী চারঘাট উপজেলার দাসের চক গ্রাম থেকে আশরাফুল ইসলমকে আটক করে গ্রামবাসী। এসময় আটককৃত চোররা জানান, চুরির পর আশরাফুল ইসলামের কাছে চুরি করা গবাদি পশু সরবরাহ করতো তারা। গনধোলাইয়ের এক পর্যায়ে চোর আশরাফুল ইসলাম ও তাদের স্বজনদের বাড়ি ও দাসের চক বিল থেকে ৯ টি গরু এবং ৮ টি ছাগল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া এসব গরু-ছাগল এবং আটকদের স্থানীয় জামনগর ইউনিয়ন পরিষদে জড়ো করা হয়। পরে বুধবার দুপুরে আটকদের পুলিশে সোপর্দ করা হয় এবং উদ্ধার হওয়া গরু জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে রাখা। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস আরও জানান, আইন অনুযায়ী উদ্ধার হওয়া গবাদি পশু তাদের মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, গ্রামবাসী ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানার পর পুলিশ তাদের আটক করেছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। চোরদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরর পর তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।