ডেস্ক নিউজ
দেশের বাজারে আসছে দেশীয় ব্র্যান্ডের গাড়ি ‘বাংলা কার’। সব কিছু ঠিক থাকলে ঈদের পরই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। তবে গাড়ি বিক্রি কার্যক্রম শুরু হলেও আনুষ্ঠানিক যাত্রা এখনো শুরু হয়নি। ২৬ মার্চ এর উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড পরিস্থিতির কারণে উদ্বোধন অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীর তেজগাঁও ১৮১-১৮২ নম্বর ঠিকানায় ‘বাংলা কার’-এর একটি শোরুম চালু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে ৩০টি গাড়ি, যার ১০টিই বিক্রি হয়ে গেছে। ৩০ লাখ টাকায় মিলবে গাড়িটি। সাত আসনের এই ‘বাংলা কার’ নিয়ে এলো হোসেন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। করোনার প্রকোপ হ্রাসসহ সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরই ‘বাংলা কার’-এর রফতানি শুরু হবে।
হোসেন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাকির হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কোটি টাকা খরচে মার্সিডিজ-বিএমডব্লিউ গাড়িতে একজন গ্রাহক যে সুবিধা পান ‘বাংলা কার’-এ সে সুবিধা মিলবে মাত্র ৩০ লাখ টাকায়। প্রাথমিকভাবে ৩০টি গাড়ি ট্রায়ালে আছে, এরই মধ্যে ১০টি বিক্রি হয়ে গেছে।
তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে দেশের আট বিভাগে থাকছে ‘বাংলা কার’-এর শোরুম। তা ছাড়া আরো ৩০টি শোরুম খুলতে যাচ্ছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। গাড়িটি পোশাক খাতের মতো ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ নাম বহন করবে। দেশকে গাড়ি উৎপাদনে নেতৃত্ব দেবে জাপান, চীন ও ভারত। ইতোমধ্যে রাজধানীর তেজগাঁও ১৮১-১৮২ নম্বর ঠিকানায় ‘বাংলা কার’-এর একটি শোরুম চালু হয়েছে। যেখানে দেশীয় নিজস্ব ব্র্যান্ডের আট রঙের গাড়িটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ২০২১ সালের নতুন মডেলের গাড়িও শোভা পাচ্ছে শোরুমে।
হোসেন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি বলেন, ‘বাংলা কার’ তৈরির কারখানা নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটিতে। সেখান থেকে ১২ ধরনের গাড়ি বাজারজাত করা হবে। এর মধ্যে প্রাইভেট কার, ট্রাক, বাস, লরি ট্রাক, পিকআপ উল্লেখযোগ্য।
পোশাক খাতে যেমন ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা থাকে তেমনি এবার মেইড ইন বাংলাদেশ লেখা থাকবে বাংলাদেশে তৈরি গাড়ি ‘বাংলা কার’-এ।