অভাবের সংসার। তাই বসতভিটা ছেড়ে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় শ্রম বিক্রি করতে যাবে বাবা-মা। কিন্তু কন্যা সন্তান আলফাকে রেখে যাবার মতো কেউ নেই। তাইতো দরিদ্র বাবা মা চার বছরের আলফাকে নিয়ে কাজের জন্য বেড়িয়ে পড়েন।একসময় হাজির হন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা গ্রামের মাঠে। ঐ মাঠে রসুন রোপনের কাজ শুরু করেন তারা। দুজনই যখন রসুন রোপনে ব্যস্ত তখন তাদের অজান্তেই শিশুটি পাশের পুকুরে চলে যায়। এসময় শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে আশেপাশে খুঁজতে থাকে অসহায় বাবা মা। এসময় পুকুরের পানিতে শিশুটির সন্ধ্যান মেলে। কিন্তু নিথর দেহ আলফার। দরিদ্র বাবা মার চিৎকারে লোকজন জমা হয়। অনেক খোঁজাখুুঁজির পর রসুন খেতের পাশের পুকুর থেকে শিশু আলফার নিথর দেহটি উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটে। নিহত শিশুর পিতা আলতাব হোসেন জানান- পাশের সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার মহিশলুটি এলাকায় তাদের বাড়ি। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দিনমজুর। অভাবের সংসারে আলফাই ছিল তাদের একমাত্র সন্তান। সংসারের খরচ মিটাতে তারা বিভিন্ন এলাকায় কাজ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে শিশু আলফাকে নিয়ে গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা এলাকায় শ্রম বিক্রি করতে এসেছিলেন। কিন্তু শিশুটি লাশ হলো। একমাত্র সন্তান হারিয়ে পাগলপ্রায় তার মা।