নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাটোর জেলা সভাপতি এডভোকেট এম, রুহুল কুদ্দুস কালুকদার দুলু বলেছেন, সরকার বাধা না হলে দ্রুতই কারাবন্দী খালেদা জিয়া বাকি দুই মামলায় (জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল মামলা) জামিন পাবেন। দলের কাউন্সিলের চাইতেও আমরা নেত্রীর মুক্তির বিষয়টিকে প্রাধাণ্য দিচ্ছি। চেয়ারপার্সনের উপস্থিতিতেই আমরা দলের কাউন্সিল করতে চাই।তাই বিএনপি’র সপ্তম জাতীয় কাউন্সিলের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই । তিনি আজ শনিবার বিকেলে নাটোর জেলা বিএনপি’র অস্থায়ী কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যৌথ বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন । জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক এর সভাপতিত্বে বাংলাধেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ বাহাউদ্দীন বাহার ,সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাচ্চু ,সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী শাহ আলম ,সদর থানা বিএনপি’র সভাপতি রহিম নেওয়াজ শহর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকসাবেক মেয়র শেখ এমদাদুল হক আল মামুন ,প্রচার সম্পাদক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন , জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সোহাগ ,জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদ রনি । দুলু আরোও বলেন,বিশ্বজিৎ, রিফাত ,সানাউল্লাহ নূর বাবুকে যেভাবে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে । ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার কেও এই বাকশালী হত্যা করেছে । সুশাসন ও ন্যায় বিচার না থাকায় দেশে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনা ঘটছে । যে কারণে বাড়ছে অন্যায়। বরগুনায় যেভাবে দিন দুপুরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না । সরকার একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠছে । এ থেকে মুক্তি পেতে রাজপথে আন্দোলনের বিকল্প নেই । খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তি এক সুতোয় গাঁথা। দুলু অরোও বলেন , বিগত আন্দোলন সংগ্রামে ত্যাগী নেতাদের আগামী দিনের নেতৃত্বে মূল্যায়ন করা হবে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ্য, ত্যাগী ও অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। সংস্কারপস্থিদের মধ্যে যারা দলে স¤পৃক্ত হয়েছেন তাদেরও পদায়ন করা হবে। তবে এবার সব কমিটিই হবে তারুণ্যনির্ভর। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে পিছিয়ে থাকা নেতাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হবে না। এ সরকারের আমলে যাদের গায়ে মামলা হয়নি, হামলার শিকার হননি, সরকারের সঙ্গে আতাত করে নিজের ব্যবসা বাণিজ্য টিকিয়ে রেখেছেন তাদের প্রতিও কড়া দৃষ্টি রাখছে বিএনপির হাইকমান্ড।