অবশেষে বিজিবিতে সংযোজন হলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দুইটি হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টার যুক্ত করার মধ্যদিয়ে বাহিনীটিকে আরও আধুনিক করা হলো। ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে। হেলিকপ্টার সংযোজিত হওয়ায় বিজিবির কার্যক্রম আরও গতিশীল ও কার্যকর হবে। আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টার দুইটি উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জনকণ্ঠকে জানান, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে হেলিকপ্টার দুইটির উদ্বোধন করবেন। গণভবনের সঙ্গে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম পিলখানা বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে যুক্ত হবেন। অনুষ্ঠানে ‘ত্রিমাত্রিক সক্ষমতা অর্জনে বিজিবি’ শীর্ষক প্রমাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে। এছাড়া বিজিবি মহাপরিচালক কর্তৃক ‘শতবর্ষে জনকের মুখ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীকে বই ও স্যুভেনির প্রদান করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ নবেম্বর সরকারী ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। দুর্গম পার্বত্য এলাকায় নজরদারি বাড়াতেই সরকার বিজিবির জন্য দু’টি হেলিকপ্টার কেনার অনুমতি দেয়। এ খাতে ব্যয় ধরা হয় ৪১৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। হেলিকপ্টার দু’টি সরবরাহ করেছে রাশিয়ার কোম্পানি জেএসসি।
এর আগে বিজিবির জন্য জি-টু-জি পদ্ধতিতে রাশিয়া থেকে দু’টি হেলিকপ্টার কেনার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর এমআই ১৭১এসএইচ (মিলিটারি ভার্সন) পরিবর্তে এমআই ১৭১ই (সিভিল ভার্সন) হেলিকপ্টার সরবরাহ করতে রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা হয়। রাশিয়ার কোম্পানি জেএসসি রাশিয়া এ দু’টি হেলিকপ্টার চালানোর জন্য কারিগরি সহযোগিতা দেবে। হেলিকপ্টারের গতি হবে সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার। ফ্লাইট সার্ভিস সিলিং হবে ৬ হাজার মিটার এবং ওজন হবে ১৩ হাজার কেজি। এসব হেলিকপ্টারে একজন স্টুয়ার্ডসহ ২৬ যাত্রী পরিবহন এবং বেল্টে ঝুলিয়ে পণ্য পরিবহনের সুবিধা আছে।