ডেস্ক নিউজ
বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হলে বেশকিছু ক্ষেত্রে দেশ উপকৃত হবে। একইসঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও দেশকে নেতৃত্ব দেয়ারও দৃষ্টান্ত ফুটে ওঠে। বর্তমান আইন অনুযায়ী বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো চাইলেই বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারে না। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়।
এদিকে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমোদন চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছিল ছয় উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের চূড়ান্তভাবে অনুমোদন না হলেও এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে পর্যালোচনায় গঠিত প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির কাছে।
চূড়ান্ত অনুমোদন মিললেই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে বিদেশে প্রায় ৬৬ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ (সর্বশেষ বিনিময়হার অনুযায়ী) বিনিয়োগ করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রাণ ফুডস লিমিটেড, নাসা গ্রুপের এ জে সুপার গার্মেন্টস, বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড, এমবিএম গার্মেন্টস, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও রেনাটা লিমিটেড।
বিদেশে বিনিয়োগের আবেদন পর্যালোচনায় গঠিত প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি বলছে, এটি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। চূড়ান্তভাবে অনুমোদন এলেই এ ছয় প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে পারবে। সদ্য ঈদুল আজহার আগেই কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতিনিধিরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক জগন্নাথ চন্দ্র ঘোষ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ছয় প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেবে গভর্নর। কমিটি প্রোপোজাল রেডি করে সুপারিশ করবে, সুপারিশের পরই চূড়ান্ত হয়। কমিটি চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয় না, কমিটি শুধু সুপারিশ করে। এটা দেয়া যেতে পারে কি-না, হ্যাঁ অথবা না এ সুপারিশ করতে পারে। আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি ছোট ছোট বিনিয়োগ এগুলো।’
কমিটির অন্য সদস্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী রফিকুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ক্যাপিটাল অ্যাকাউন্টের আওতায় বিনিয়োগ এটা। প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন হয়েছে; তবে চূড়ান্ত কিছুই হয়নি, ওটা প্রিলিতে আছে। ঈদের আগে আমাদের মন্ত্রণালয়ের সাথে মিটিং হয়েছে যেটা কার্যবিবরণীতে এখনও স্বাক্ষর হয়নি। যারা বিদেশে বিনিয়োগ করতে চায় তাদের টাকা ওটা। রফতানি প্রত্যাবাসন কোটার (ইআরকিউ) হিসাব থেকে স্বল্প মূলধন হিসেবে বিনিয়োগ করবে এসব প্রতিষ্ঠান। অল্পমাত্রার বিনিয়োগ চূড়ান্ত কিছু হয়নি এখনও। মন্ত্রণালয়সহ এনবিআর সদস্যদের সুপারিশ নিয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন গর্ভনর।’