ডেস্ক নিউজ
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা পাঁচটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমানের মধ্যে চতুর্থ বিমানটি আজ রবিবার ঢাকার কুর্মিটোলায় বিমানবাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে অবতরণ করেছে।
আইএসপিআর জানায়, বর্তমান সরকার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর আধুনিকায়নে অত্যন্ত সচেষ্ট। তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক পাঁচটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান যুক্তরাজ্যের রয়েল এয়ারফোর্সের সঙ্গে সরাসরি ক্রয় চুক্তি এবং মার্শাল এরোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স গ্রুপের সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তির মাধ্যমে বিমানবাহিনীতে সংযোজনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিমানগুলোর মধ্যে চতুর্থ সি-১৩০জে বিমানটি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর নিজস্ব বৈমানিকের সফল ফেরি ফ্লাইটের মাধ্যমে আজ রবিবার ঢাকার কুর্মিটোলায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে অবতরণ করে।
এই মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন বিমানবাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন জি এম শামীম রেজা। যুক্তরাজ্য থেকে উড্ডয়নের পর যাত্রাপথে বিমানটি মিশরের কায়রো ও ওমানের মাসকাটে যাত্রাবিরতি করে।
ঐতিহ্যগত রীতি মোতাবেক বিমানটিকে বিমানবাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় সহকারী বিমানবাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল মো. শফিকুল আলম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন। ওই ফেরি ফ্লাইটের সকল কার্যক্রম বিমানবাহিনীর ওভারসিস এয়ার অপারেশনস পরিদপ্তর পরিচালনা করে।
আইএসপিআর আরো জানায়, সি-১৩০জে পরিবহন বিমান অত্যাধুনিক এভিওনিক্স ও উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন পরিবহন বিমান, যা মালামাল ও সৈন্য পরিবহনসহ দেশে এবং বিদেশে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যবহৃত হবে। ক্রয় করা অবশিষ্ট বিমানটি এ বছরের মধ্যেই যুক্তরাজ্য থেকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিমানবাহিনীতে অত্যাধুনিক এই সি-১৩০জে বিমানের অন্তর্ভুক্তি বিমানবাহিনীর বিশ্বের যেকোনো স্থানে পৌঁছনো ও পরিচালন ক্ষমতা―সর্বোপরি বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াবে। অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু ও বাশারের এয়ার অধিনায়ক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।