ডেস্ক নিউজ
পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় এখন দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক করিডর হিসেবে গড়ে উঠবে ঢাকা-দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল হাইওয়ে। বর্তমানে দেশের একমাত্র অর্থনৈতিক করিডর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েকে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এখন দেশের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক করিডর হিসেবে গড়ে উঠবে ঢাকা-দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল। বরং পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে এই করিডরই দেশের বৃহত্তম করিডরে পরিণত হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পদ্মা সেতু দেশের তিনটি বন্দরকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করেছে। একটি হচ্ছে মোংলা বন্দর, দ্বিতীয়টি হচ্ছে দেশের সম্ভাবনাময় পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং তৃতীয়টি হচ্ছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল। বিশেষজ্ঞরা পদ্মা সেতু কেন্দ্রিক ঢাকা-দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলকে দেশের নতুন অর্থনীতির করিডর হিসেবে বিবেচনা করছেন। তারা বলছেন, এটি শুধু ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকেই যুক্ত করেনি, মোংলা, পায়রা ও বেনাপোল বন্দরকে সরাসরি ঢাকার সঙ্গে যুক্ত করেছে। ভবিষ্যতে এই অবকাঠামোর মাধ্যমে বাংলাদেশ এশিয়ান হাইওয়েতে যুক্ত হবে, যা অর্থনীতিকে নতুন মাত্রা দেবে।
এই অর্থনৈতিক করিডরের কাজ আরও ত্বরান্বিত করতে ফরিদপুর থেকে বরিশাল হয়ে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা পর্যন্ত ২৩৬ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মতোই চার লেনের এ মহাসড়কের সঙ্গে থাকবে দুই লেনের সার্ভিস রোড। ইতোমধ্যে সড়কের জন্য ৩০২ দশমিক ৭০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় হচ্ছে ১৮শ’ ৬৭ কোটি টাকা। যার কাজও অনেকটা এগিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর সঙ্গে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। চার লেনের এ মহাসড়কের দুপাশে গাড়ি চলাচলের জন্য রয়েছে আলাদা লেন।
জানা যায়, পদ্মা সেতুর কারণে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা গতিশীল হবে। দেশের অর্থনীতির দ্বিতীয় লাইফলাইন মোংলা বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় বাঁচবে। মোংলা বন্দর থেকে ঢাকায় পণ্য আসতে লাগবে মাত্র ৩ ঘণ্টা। আগে লাগত ৮-৯ ঘণ্টা। এখানে বাঁচবে ৬ ঘণ্টা। মোংলা থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আগে লাগত ১৪ ঘণ্টা। সেতুর কারণে তা কমে হবে ৭-৮ ঘণ্টা। এখানেও বাঁচবে ৬ ঘণ্টা। সব মিলিয়ে ১২ ঘণ্টা সময় এগিয়ে থাকবেন ব্যবসায়ীরা। এই বেঁচে যাওয়া সময়টাই হবে অর্থনীতির বড় পুঁজি।
ঢাকা থেকে পায়রা-কুয়াকাটা-যশোর-খুলনা-মোংলা পর্যন্ত সুবিস্তৃত একটি ‘ইকোনমিক করিডর’ হিসেবে দেশের অর্থনীতির দ্বিতীয় সর্বোত্তম লাইফলাইনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে। শিল্পায়নে দেশীয় ও বৈদেশিক পুঁজি আকর্ষণে ঢাকা-কুমিল্লা-মিরসরাই-চট্টগ্রাম-আনোয়ারা-মাতারবাড়ী-কক্সবাজার-টেকনাফের মতো আরেকটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠতে এই ইকোনমিক করিডরের এক দশকও লাগবে না।
এই সেতুর কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে চাপ কমবে। কারণ এখন মোংলা বন্দরের গতি বেড়ে যাবে। দ্রুত এ বন্দর থেকে পণ্যবাহী কন্টেনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং করা যাবে। ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দর খুব অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারবেন। পণ্য নিয়ে ঢাকা বা চট্টগ্রামে গেলে পদ্মার ফেরিতেই আটকে থাকতে হতো কয়েক ঘণ্টা। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বেঁচে যাওয়া সময়ের কারণেই ব্যবসা-বাণিজ্য বহুগুণে বাড়বে। এতে এই এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা স্বল্প সময়ে পণ্য পরিবহন করে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে রফতানি ও আমদানি করতে উৎসাহিত হবেন।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিকিএমইএ) যোগাযোগ শুরু করেছে। সেতু চালু হওয়ায় এখানে তারা বিনিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া কয়েকটি বড় কোম্পানিও যোগাযোগ করেছে মোংলা বন্দরে বিনিয়োগের।
মোংলা বন্দর সূত্র জানায়, বর্তমানে মোংলা বন্দরে বছরে ১ হাজার ৫০০টি জাহাজ এবং প্রায় ১ লাখ কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা রয়েছে। তবে ব্যবহার হচ্ছে সক্ষমতার অর্ধেক। পদ্মা সেতু চালুর ফলে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানির পরিমাণ অনেক বাড়বে। এ কারণে জাহাজের ধারণক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। ২০২৫ সাল নাগাদ বন্দরে তিন হাজারের মতো জাহাজ ভিড়তে পারবে।
খুলনায় দেশের অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হিমায়িত মৎস্য ও পাট শিল্পের অধিকাংশ। পদ্মা সেতুর কারণে এ খাতে রফতানি আয় আরও বাড়বে। পাশাপাশি মোংলা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেক সহজ হবে। বিনিয়োগকারীদের কাঁচামাল আগে যেখানে জাহাজে আসত, সেখানে এখন সড়ক পথে আসবে। এতে এই ইপিজেডে বিনিয়োগও বাড়বে।
দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর হচ্ছে পায়রা। পায়রা বন্দর একটি আধুনিক বন্দর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। বন্দরটি আধুনিক এবং পরিকল্পিত। এখন পদ্মা সেতুর কারণে এই বন্দরের উন্নয়ন অনেক বেগবান হবে। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ এখানে বাড়াবে। বন্দরকে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকা শিল্পাঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর ফলে পায়রা বন্দরের গতি বহুগুণ বেগবান হবে বলে মনে করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে পায়রা বন্দরের সঙ্গে ঢাকাসহ সারাদেশের যোগাযোগব্যবস্থার সর্বোচ্চ সুযোগ আসবে। পায়রা বন্দর এবং পদ্মা সেতু এই দুটি প্রকল্প খুব অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি প্রকল্পই শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয়, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে ভীষণভাবে গুরুত্ব বহন করে।
বন্দরে মালামাল এলে বন্দর থেকে তা দেশ ও বহিঃবিশ্বে যায়, এজন্য যোগাযোগব্যবস্থাটা গুরুত্বপূর্ণ হয়। পদ্মা সেতু হওয়ায় পায়রা বন্দরের সঙ্গেও সারাদেশের সড়ক যোগাযোগটা স্থাপিত হয়েছে। শুধু সারাদেশই নয়, যোগাযোগ বহিঃবিশ্বের সঙ্গেও তৈরি হয়ে গেছে। বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ সংযুক্ত হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা যারা আমদানি-রফতানির সঙ্গে জড়িত তারা এখন আগ্রহী হয়ে উঠবে পায়রা বন্দরকে ব্যবহার করার জন্য। এখন তাদের মালামাল ঢাকা থেকে আরম্ভ করে বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তে পাঠাতে আর কোন সমস্যা থাকবে না।
এছাড়া ঢাকার সঙ্গে বেনাপোলের দূরত্বও কমবে ৯৩ কিলোমিটার। ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বড় অংশই হয় এ পথে। রাজস্বের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। এ পথে যাতায়াতে সময় বাঁচবে ৩-৪ ঘণ্টা। সঙ্গে কমবে পরিবহন খরচ। তাই বাণিজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে স্থলবন্দরটির রাজস্ব দেড়গুণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশে আটটি রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু আছে। এর মধ্যে পদ্মার ওপারে শুধু মোংলা ইপিজেড। পদ্মা সেতুকে ঘিরে যশোর ও পটুয়াখালীতে আরও দুটি ইপিজেড করার প্রস্তাব আছে। এতে এ অঞ্চলে রফতানিমুখী খাতে আরও বিনিয়োগ হবে, বাড়বে কর্মসংস্থান।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সূত্রে জানা গেছে, মোংলা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও পায়রা বন্দর এলাকায় চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার পরিকল্পনা রয়েছে। পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দুই বছর আগে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর এই দুই জেলায় একটি তাঁতপল্লী নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১২০ একর জায়গার ওপর গড়ে উঠছে তাঁতপল্লীটি। শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুরের শিবচরে ৬০ একর করে মোট ১২০ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ। ভূমি উন্নয়নের কাজও শেষ। সেখানে ৮ হাজার ৬৪টি তাঁত শেড হবে।
পদ্মা সেতুকে ঘিরে নদীর এপারে মুন্সীগঞ্জে বিসিকের চারটি প্রকল্পের কাজ চলমান। সেগুলো হলো প্লাস্টিক শিল্পকারখানা, রাসায়নিক শিল্পকারখানা, মুদ্রণশিল্প ও এপিআই শিল্পপার্ক। সেতুকে ঘিরে বিসিক কয়েকটি নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ফরিদপুরে ৫০০ একর জায়গায় শিল্পপার্ক, খুলনায় ৫০০ একর জায়গায় শিল্পপার্ক, নড়াইলে ২০০ একর, মাগুরায় ২০০ একর জায়গায় শিল্পপার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ২০০ একর জায়গায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে যাচ্ছে বেজা।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর এখন দেশের পর্যটনের মানচিত্রই পাল্টে যাবে। দ্রুততম সময়ে যাওয়া যাবে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ও সাগরকন্যা কুয়াকাটা। লঞ্চে পটুয়াখালী হয়ে কুয়াকাটা পৌঁছাতে সময় লাগতো ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা। এখন অর্ধেক সময়েই পৌঁছানো যাচ্ছে। এছাড়া বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন, ষাটগম্বুজ মসজিদসহ বাগেরহাট ঘিরে পর্যটনশিল্পে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকার ও বন বিভাগকে সমন্বিত ও কার্যকর কর্মপরিকল্পনা নিলে এর গতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব আলী বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ায় ঢাকার সঙ্গে মোংলা, পায়রা ও বেনাপোলের সড়কটি একটি করিডরটা অর্থনৈতিক হিসেবে কাজ করবে। যা দেশের উন্নয়নে একটা উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। পাল্টে দেবে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের পর্যটনের মানচিত্রও। সরকার সেতু ও সড়ক নির্মাণ করে উন্নয়নের মেরুদ- তৈরি করে দিয়েছে। এখন চারপাশে বেসরকারী খাতে এলোমেলো উদ্যোগ নিলে এই উন্নয়ন টেকসই হবে না। এই কারণে রাস্তার দুই পাশে পরিকল্পিত উন্নয়ন করতে হবে। সরকারের যে শিল্পায়ন ও উন্নয়ন পরিকল্পাগুলো আছে, সেগুলোর এখন দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলেই এই সেতু কেন্দ্রিক ঢাকা-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গড়ে উঠা নতুন অর্থনৈতিক করিডরের সুফল তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে।
শুধু যাতায়াতের করিডর হিসেবেই নয়, পদ্মা সেতুকে নতুন অর্থনৈতিক করিডর হিসেবেও দেখছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরাও। তারা বলছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর দূরত্ব ও সময় কমিয়ে আনার অর্থনৈতিক মূল্যই ব্যাপক। আকাশ, সড়ক আর নৌপথÑ এই ত্রিমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সমানভাবে কাজে লাগানো গেলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের জীবনে তা সরাসরি প্রভাব ফেলবে। আর সেখানে মূল লাইফ লাইনটা হয়ে উঠবে পদ্মা বহুমুখী সেতু।
এটা শুধু পরিবহনের জন্য ব্যবহার করলে চলবে না, এটাকে ইকোনমিক করিডর করতে হবে। পদ্মা সেতু ঘিরে ১৭টা ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল। সেগুলো দ্রুত করতে হবে। তাহলে জাতীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে অবদান রাখতে পারবে।
বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এম শামসুল হক বলেছেন, ২১টি জেলার মানুষের জীবন মানোন্নয়নের মূল ভিত্তি তথা অর্থনৈতিক মেরুদ- তৈরি হবে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে। এখন প্রয়োজন পদ্মা বহুমুখী সেতুকে ঘিরে পরিকল্পিত ভূমি ব্যবস্থাপনার কাজটি করা। তাহলে সেতুকে ঘিরে তৈরি হবে অর্থনৈতিক কর্মকা-ের নতুন করিডর।
ফেরি-সঙ্কট, আবহাওয়া, যানজটÑ এই তিন কারণে পদ্মা পার হতে না পেরে তরমুজ বোঝাই শতাধিক গাড়ি আটকে পড়ার খবর কারও অজানা নয়। মাদারীপুরের কলাই শাক, শরীয়তপুরের সবজি, ফরিদপুরের খেজুরের রস, বরিশাল, পটুয়াখালীর তরমুজ, বাঙ্গি, আমড়া ও ডিমবাহী ট্রাকও পদ্মার পাড়ে আটকে থাকত ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অনেক সময় পচেই যেত এসব। পচে যাওয়ার ভয়ে কৃষকরাও অনেক সময় পানির দরে বিক্রি করে দিতেন এসব পণ্য। এমন অসহায়ত্বের অবসান ঘটবে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কারণে।
উন্নত যোগাযোগে ভর করে আঞ্চলিক আয় বৈষম্য কমানোর পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে পৌঁছানোর দৌড়ে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে মানছেন পর্যবেক্ষকরাও।