ডেস্ক নিউজ
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে করদাতাদের বিদেশে থাকা অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালোটাকা আয়কর রিটার্নে প্রদর্শনের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তা ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট থেকে এক সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিদেশে থাকা অপ্রদর্শিত অর্থ আয়কর রিটার্নে প্রদর্শনের সুযোগ বা অফশোর ট্যাপ অ্যামনেস্টি বিধান সংক্রান্ত বিধিবিধান শাখা পর্যায়ে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি গ্রাহকদের মধ্যে বহুল প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে অর্থ আইনের মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে নতুন ধারা যুক্ত করে সরকার করদাতাদের বিদেশে থাকা অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালোটাকা আয়কর রিটার্নের মাধ্যমে প্রদর্শনের সুযোগ দেয়। সেখানে বলা হয়, করদাতারা তাদের বিদেশে থাকা নগদ টাকা, ব্যাংকের আমানত, যেকোনো ধরনের ব্যাংক নোট এবং কনভার্টেবল সিকিউরিটিজ বা ইনস্ট্রুমেন্ট দেশের আয়কর রিটার্নে বিনা প্রশ্নে দেখাতে পারবেন। ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে এসব অর্থ দেশে আনতে হবে। এ জন্য তাদের ঘোষিত অর্থের ৭ শতাংশ কর দিতে হবে। একে বলা হচ্ছে, অফশোর ট্যাপ অ্যামনেস্টি বা বিদেশে থাকা কালো টাকা আয়কর রিটার্নে প্রদর্শনের দায়মুক্তি। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত করদাতারা এ সুবিধা পাবেন।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত কেউ অবশ্য এ আইনের সুযোগ নেননি।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, এবারের বাজেটে করদাতাকে বিদেশে থাকা অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শনের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, সেটাকে পাচারের টাকা ফেরত আনার সুযোগ হিসেবে পত্রপত্রিকায় অনেক সমালোচনা হয়েছে। সেজন্য এর একটা ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এই সমালোচনার কারণে করদাতারা সুবিধাটি নিতে অনেক ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখান না।
তিনি বলেন, যাদের বিদেশে থাকা বৈধ অর্থও আয়কর রিটার্নে উল্লেখ নেই, ওইসব ব্যক্তিদের জন্য এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে দেশের অর্থনীতি যেমন লাভবান হবে, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রার মজুতও সমৃদ্ধ হবে। কালো টাকার মালিক বা পাচারকারিদের জন্য এ সুযোগ দেওয়া হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এ ধরনের দায়মুক্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, বৈধ আয়ই প্রদর্শন করেছেন করদাতারা। কালো টাকা বা পাচার করা টাকার মালিকরা এর সুবিধা বিশেষ নেয়নি।