ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরও বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত ৪৭টি দেশ থেকে আমদানিতে শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাজ্য।
মঙ্গলবার দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন দপ্তরের এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে বলে ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।
শুল্ক সুবিধা অব্যাহত থাকায় দেশগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা হবে বলে মনে করে যুক্তরাজ্য।
এ ছাড়াও দেশটির বিশ্বব্যাপী শুল্ক হারের তুলনায় স্বল্প ও নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশগুলো স্বল্প শুল্কের সুবিধা পাবে।
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আগে কোনো বাণিজ্য চুক্তি না থাকলেও, বাণিজ্য অগ্রাধিকার প্রকল্পের অধীনে এমন দেশগুলো এ শুল্ক সুবিধা পাবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেন, ‘মুক্ত বাণিজ্য ব্যবসা উন্নয়নে সহায়তার পাশাপাশি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়ক। আমরা বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোকে যুক্তরাজ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের পণ্য রপ্তানি করার সুযোগ নিশ্চিত করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘এটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর শক্তিশালী শিল্প স্থাপনে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে এবং দীর্ঘমেয়াদে বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে সহায়তা করবে।’
যুক্তরাজ্য গত বছর এ ধরনের স্বল্পোন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো থেকে প্রায় আট বিলিয়ন ডলারের টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক আমদানি করে। যা যুক্তরাজ্যে মোট টেক্সটাইল ও পোশাক আমদানির ৩০ শতাংশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রিটিশ আমদানিকারকেরা বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলো থেকে পোশাক ও শাকসবজির মতো পণ্যগুলো আমদানির ক্ষেত্রে শূন্য বা কম শুল্কহার দেওয়া অব্যাহত রাখবে।
বর্তমানে যে সব দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারালাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্স’র (জিএসপি) আওতায় বাণিজ্য অগ্রাধিকারের জন্য যোগ্য, সেগুলো ব্রিটিশ সরকারের জিএসপি সুবিধা পাবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
লিজ ট্রাস বলেন, ‘এই পরিকল্পনা ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার পরেও, তাদের ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি ব্রিটিশ গ্রাহকেরা সাশ্রয়ী মূল্যে তাদের পছন্দের পণ্য পেতে থাকবে।’