নিউজ ডেস্ক:
খাদ্যসহ বাজার ব্যবস্থায় নানাবিধ ভেজালের অপতৎপরতা রুখে দিতে ভেজালকারীদের দমনে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সরকার। জোরদার করা হচ্ছে ভেজালবিরোধী অভিযান। জানা গেছে, ভেজালকারীদের শাস্তির বিধান পরিবর্তন করার পরিকল্পনা চলছে। এতে আইনকে আরও কঠোর করে শাস্তি বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ভেজালবিরোধী আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও বিভিন্ন অভিযানে ভেজালকারীরা কেবল জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। ফলে তাদের অর্থদণ্ড হলেও তাদের ভেজালের বিরোধী মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে না। ফলে আইন আরও কঠোর করে তাদের শাস্তি বাড়ানো হবে।
তবে ভেজালবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি এ নিয়ে ভেজালকারীদের বিষয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়াতে হবে উল্লেখ করে কর্মকর্তারা বলছেন, জনগণের সচেতনতা ছাড়া সমাজের কোনো সংকটই নির্মূল করা সম্ভব নয়। সুতরাং জনগণকে ভেজালকারীদের বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভোক্তা সাধারণ যাতে প্রতারিত না হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। ব্যবসায়ী ও ভোক্তা উভয়ে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করা দরকার। না হলে এদেশে দিন দিন খাদ্যে ভেজালসহ ভোক্তার অধিকার লঙ্ঘন হতে থাকবে। ভোক্তা অধিকার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে আইনজীবীদের এগিয়ে আসার বিকল্প নেই। ভেজালের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান ধরে রাখতে আইন আরও কঠোর করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে সকলের সচেতনতা বাড়াতে ভোক্তা অধিকারের বিষয় পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। আমরা সে ব্যাপারেও চিন্তা-ভাবনা করছি। শিক্ষার্থীরা ছাত্রজীবন থেকেই ভোক্তার অধিকার সম্পর্কে জানতে পারবে। ফলে বাস্তব জীবনে তা কাজে লাগানোর সুযোগ পাবে। এছাড়া ভেজালকারী মানসিকতার মানুষদের শুধরে যাওয়া আহ্বান জানাচ্ছি। সকলেই সচেতন হোন, সচেতনতা বাড়াতে সবাই এগিয়ে আসুন।