ডেস্ক নিউজ
নারায়ণগঞ্জ শহরের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় একটি মসজিদে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।তিনি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা আজ শনিবার দুপুরে ১৪ জনে পৌঁছেছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. সামন্তলাল সেন জানান, মসজিদে সাতটি এয়ারকন্ডিশনার বিস্ফোরণের পর আহত ৩৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
ডা. সামন্ত আরো বলেন, ‘আহতদের মধ্যে সকাল ৯টা পর্যন্ত ১১ জন মারা যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।’
শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এশার নামাজের সময় মসজিদের সব এসি বিস্ফোরিত হয়ে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বায়তুস সালাম মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ শেষ করার পরপরই এ ঘটনা ঘটে। একটি এসি বিস্ফোরিত হয়ে মসজিদের ভেতরে আগুন লেগে যায়। পরে বাকি আরো ছয়টি এসির বিস্ফোরণ ঘটে, যাতে অন্তত ৪০ জন মুসল্লি আহত হন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, মসজিদটির নিচ দিয়ে গ্যাসের পাইপলাইন নেওয়া হয়েছে। সেই পাইপে ছিদ্র হয়ে গ্যাস নির্গত হচ্ছিল। পুরো মসজিদ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সব জানালা বন্ধ ছিল। এ কারণে গ্যাস বাইরে বের হতে পারেনি। ওই অবস্থায় কেউ মসজিদের ভেতরে এসি বা ফ্যানের সুইচ বন্ধ করার সময় সৃষ্ট ছোট্ট স্ফূলিঙ্গ থেকেই আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে মসজিদের ভেতরে আগুন ধরে যায় ও মুসল্লিরা দগ্ধ হন। আগুনে মসজিদের ছয়টি এসিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ ও মণ্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। পরে মসজিদের মেঝেতে পানি ছিটিয়ে গ্যাস নির্গত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি করেছে ফায়ার সার্ভিস।