ডেস্ক নিউজ
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মোকাবেলায় জীবন ও জীবিকার মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। সিলেকটিভ লকডাউন দিয়েছেন। পোশাক শ্রমিক, ধান কাটা শ্রমিক এবং অন্য শ্রমিকদের জন্য লকডাউন ছিল না। সেই সঙ্গে অর্থনীতি সচল রাখতে সোয়া লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছেন। এখানে কিছু চুরি-চামারি হলেও প্রণোদনা কাজে লেগেছে। দেশের সব শ্রেণীর মানুষের কঠোর পরিশ্রমে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়ছে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় চার হাজার ডলার হবে বলে জানান তিনি। সোমবার এলডিসি উত্তরণ নিয়ে জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার অব গবর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিজিএসের গবেষণা পরিচালক ড. আব্দুল্লা আল মামুন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান। বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রশীদ আল মাহমুদ তিতুমীর, বাংলাদেশ ওমেনন্স চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সেলিমা আহমেদ এমপি, সংসদ সদস্য ড. হাবিবে মিল্লাদ, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ এবং ভুটান) মার্সেই মিয়াং টেমবন, প্রফেসর ড. এমএ আজিজ ও ড. আবু ইউসুফ প্রমুখ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ইউপি নির্বাচন চলছে। আনন্দমুখর পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে। বিএনপি প্রথমে বলল নির্বাচন করব না। এখন তাদের লোকজন বেনামে নির্বাচন করছে। এতে কোন বাধা নেই। পরিষ্কার গণতন্ত্র চাইলে চর্চা করতে হবে। মাঠ ছেড়ে গেলে চলবে না। খেলার জন্য মাঠে নামতে হয়। গ্যালারিতে বসে খেলা যাবে না। দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চুরি কিছু হচ্ছে। কিন্তু সেটি চিল্লাচিল্লি করে থামানো যাবে না। এর জন্য আইন আছে, আইনের মাধ্যমে ধরতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমাজের মধ্য ব্যালেন্স নেই। মাথাপিছু আয় বাড়লেও লাভ নেই যদিও আয়ের সমবণ্টন না হয়। দেশে ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়ছে। মেধাবী তরুণরা দেশে থাকতে চায় না। সুযোগের অভাবে তারা এখানে মেধার চর্চা করতে পারে না। ব্যাপক দুর্নীতি ও জবাবদিহির অভাব প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিয়েছে। অনেকে টাকা তৈরির মেশিনে পরিণত হয়েছেন। বিদেশী বিনিয়োগকারীরা দেশে এসে ক্লান্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। গণতন্ত্র না থাকায় সুশাসন হচ্ছে না।
মার্সেই মিয়াং টেমবন আরও বলেন, একটা দেশের উন্নয়নে কমবেশি ওঠানামা থাকবেই এবং এটি প্রত্যেকটি পরিবারের মতো, ব্যক্তি জীবনের মতো। সেখানে উথাল পাথাল থাকবেই। তবে আমাদের এগুলোকে সামগ্রিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই অগ্রগতিতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক সবসময়ই বাংলাদেশের সঙ্গে থাকতে চায়। কেননা বিশ্বের যে কয়েকটি দেশ খুব স্বল্পতম সময়ে উন্নতি করেছে এবং ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে, বাংলাদেশে তাদের মধ্যে অন্যতম।