নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাদক সেবন নিয়ে দ্বন্দের জের ধরেই নাটোরের গুরুদাসপুরের মাদ্রাসার বারান্দায় অন্তরকে শ্বাষরোধে হত্যা করে অপর দুই বন্ধু এরশাদ আলী ও রিপন সরকার। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে পাবনার চাটমোহর গ্রাম থেকে এরশাদ আলী ও রিপন সরকারকে আটক করেছে র্যাব -৫ এর সদস্যরা। গত শনিবার রাতে নাটোরের গুরুদাসপুরের উদবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার বারান্দা মাদক সেবন চলাকালীন অবস্থায় অন্তরকে হত্যা করা হয়। নিহত অন্তর পাবনার চাটমোহর গ্রামের ছবের আলীর ছেলে। অন্তর পেশায় একজন দিনমজুর। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে র্যাব-৫ ,সিপিসি-২ , নাটোর ক্যাম্পে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ র্যাব ৫ এর সিও মোঃ শাহরিয়ার তাদের আটকের কথা জানান। ব্রিফিং এ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন ও কোম্পানী উপ-অধিনায়ক রফিকুল ইসলাম।
ব্রিফিং এ র্যাব কর্মকর্তা জানান, মাদক সেবন নিয়ে অন্তর ও তার বন্ধু রিপন সরকারের সাথে দ্বন্দ্ব হলে রিপন। এরপর শনিবার বিকেলে রিপন এরশাদ আলীর মোবাইল ফোন থেকে কল করে অন্তরকে মাদক সেবনের জন্য ডেকে নেয়। এরপর তারা চাটমোহর থেকে চোলাই মদ ক্রয় করে নাটোরের গুরুদাসপুরের উদবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার বারান্দায় মাদক সেবনের জন্য বসে। পরে তারা গোপনে অন্তরের মদের ভিতরে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয়। মদ খেয়ে অন্তর ঘুমিয়ে পড়লে রিপন ও এরশাদ দুজনে মিলে অন্তরকে শ্বাষরোধ করে হত্যার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে র্যাব -৫ সদস্যরা হত্যার সঠিক রহস্য উদঘাটনে অভিযান শুরু করে। সিরাজগঞ্জ ও পাবনার চাটমোহরে অভিযানের এক পর্যায়ে চাটমোহর থেকে এরশাদ আলী ও রিপন সরকারকে আটক করা হয়। আটককৃত এরশাদ আলী চাটমোহরের মহেলা স্টেশন এলাকার মৃত তাছের উদ্দিনের ছেলে ও রিপন সরকার পাটচাটরা গ্রামের আকবর সরকারের ছেলে। আটককৃতদের গুরুদাসপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।