নিউজ ডেস্কঃ
সাধারণ শিক্ষার উভয় ধারায় (স্কুল ও মাদ্রাসা) ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কর্মমুখী প্রকৌশল শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ২০২১ সাল থেকে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পাঠ্যক্রম (সিলেবাস) প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। এর আওতায় বই সম্পাদনের কাজও চলছে। এছাড়া নবম-দশম শ্রেণিতে কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সংসদীয় কমিটির গত বৈঠকে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়। বুধবার মন্ত্রণালয় সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন অগ্রগতি কমিটিকে জানিয়েছে।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য কর্মমুখী প্রকৌশল শিক্ষা ১, ২ ও ৩ নামক তিনটি বই প্রণয়নের জন্য সিলেবাস তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে বই সম্পাদনের কাজ।
এছাড়া নবম-দশম শ্রেণির সব শাখায় (বিজ্ঞান/মানবিক/ব্যবসায় শিক্ষা) কারিগরি শিক্ষার বই বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাক-বৃত্তিমূলক ও বৃত্তিমূলক কোর্স চালুর জন্য সম্ভাব্য বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে, যা চূড়ান্তকরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আফছারুল আমীন বলেন, ‘আমরা আগের বৈঠকে সাধারণ শিক্ষায় কর্মমুখী শিক্ষা চালুর সুপারিশ করেছিলাম। আজকের বৈঠকে মন্ত্রণালয় থেকে তার অগ্রগতি জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।’
এদিকে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিটি শ্রেণিতে প্রতি বছরের জন্য নির্ধারিত সিলেবাস শ্রেণি কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয় কিনা তা নজরদারিতে রাখার সুপারিশ করেছে কমিটি।
আফছারুল আমীনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, একেএম শাহাজাহান কামাল, ফজলে হোসেন বাদশা, আবদুস সোবহান মিয়া এবং গোলাম কিবরিয়া টিপু অংশ নেন।