মিয়ানমার সংসদে পাঁচ বছর মুসলিম শূন্য থাকার পর আবারও দুজন মুসলিম সদস্য পেলো দেশটির পার্লামেন্ট। নির্বাচিত সদস্যরা নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের অধিকারের জন্য লড়াই করার আত্মপ্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন।
রবিবার মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) এ দুই মুসলিম প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। এদের মধ্যে একজন নারী ও একজন পুরুষ।
তারা হলেন, পাবেডান শহরের আসনে জয়ী হয়েছেন ইউ সিথু মাউং এবং মান্ডালি অঞ্চলের শিংগাইং শহরের আসনে জয়ী হয়েছেন দও উইন মেয়া মেয়া। অভিযোগ রয়েছে, মিয়ানমারে নির্বাচনে জনসংখ্যার চার শতাংশ মুসলিম চূড়ান্ত বৈষম্যের শিকার হয়েছে।
সিথু মংয়ের নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা ধর্ম ও জাতিগত দিক থেকে বৈচিত্র্যময়। ৩০ হাজার ভোটারের মধ্যে বৌদ্ধ ও মুসলিম প্রায় সমান সমান। পাশাপাশি ভোটারদের মধ্যে রাখাইন, চীনা ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত সংখ্যালঘুরাও আছেন। জয়ের পর তার প্রতিশ্রুতি, আমি সব ধর্মের জনগণের জন্য কাজ করব, বিশেষ করে যারা বৈষম্যের শিকার, নিপীড়িত বা মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত।
সিথু মং কেবল মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করবেন না। এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমার এলাকার কোনো মানুষের প্রতি অন্যায় হলে, আমি তাদের রক্ষা করব।
নির্বাচনে জয়ী দুই মুসলিম প্রার্থীই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপুল ভোটে হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ইউ সিথু মাউং তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছেন ১২ হাজার ৮৮২ ভোটে। রবিবার মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। দেশটিতে ৩ কোটি ৭০ লাখের বেশি নিবন্ধিত ভোটার থাকলেও চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবার ভোটদানের হার কম ছিল।
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দেশটির সাধারণ নির্বাচনে জয় দাবি করেছে। সোমবার দলটির মুখপাত্র এই দাবি করেন।