তারা প্রত্যেকে রাজনৈতিক দলের নেতা। তাদের আলাদা আলাদা রাজনৈতিক দল আছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা দলীয় প্রতীক নিয়ে লড়াই করে। ইসির সাথে সংলাপ করে। নির্বাচনের আগে ও পরে বড় রাজনৈতিক দলের সাথে দরকষাকষি করে জোট বাধে। নির্বাচন শেষ হলে তারা জননেতা থেকে মাওলানার কাতারে চলে আসে। যেমন মামুনুল হক খেলাফত মজলিসের মহাসচিব। তার নির্বাচনী প্রতীক দেয়াল ঘড়ি। মামুনুলের হকের মতো হেফাজতের মহাসচিব নূর হুসাইন কাসেমীর রাজনৈতিক দল আছে। দলটির নাম জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। এ দলের নির্বাচনী প্রতীক খেজুরগাছ। চরমোনাইয়ের পীরেরও রাজনৈতিক দল আছে। দলের নাম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এ দলের নির্বাচনী প্রতীক হাতপাখা। তিনশো আসনে তার দলের প্রার্থী আছে।
আওয়ামী লীগ বিএনপিতে যেমন চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, আইনজীবিরা নেতা হচ্ছেন এখানেও বিষয়টি তেমন।
শুধু নামের আগে মাওলানা থাকার কারনে আমরা সব কিছু ভুলে যাচ্ছি। অবুঝ বাঙালিরা রাজনৈতিক নেতাদের ধর্মীয় নেতা মনে করে আস্ফালন করছি।