ডেস্ক নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দর্শক সারিতে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন ও মহান বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালা গতকাল বিজয় দিবসে শুরু হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয় যৌথভাবে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থল জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পৌঁছালে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় কমিটি ও জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এবং বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এমপি তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পুথি পাঠের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন এবং কর্মকাণ্ড শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্যও তুলে ধরা হয়। নাচ, গান, কবিতা, মঞ্চনাটক ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতা ও গানে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি এবং জনজীবন মূর্ত হয়ে ওঠে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড উঠে আসে বিভিন্ন পরিবেশনায়।
দেশি-বিদেশি বিশিষ্ট শিল্পী ও সংগীতজ্ঞদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আলোকোজ্জ্বল লাইট শো অনুষ্ঠানকে আরও উপভোগ্য করে তোলে।
প্রধানমন্ত্রী তার মোবাইল ফোনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কিছু মুহূর্ত ধারণ করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার দেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন।
তিনি বাংলাদেশের পর্যটনের ব্র্যান্ড নেম ‘মুজিবস বাংলাদেশ’ লেখা একটি লোগো উন্মোচন করেন এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন।