ডেস্ক নিউজ
রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের দায়ে অভিযুক্ত লেখক মুশতাক আহমেদের স্বাভাবিক মৃত্যুকে ভিন্নখাতে নিতে অপপ্রচার শুরু করেছে চিহ্নিত দেশবিরোধী তাসনিম খলিল, পিনাকী ভট্টাচার্যরা। বিভিন্ন সময় সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেশী-বিদেশী অপশক্তির সাহায্যে গুজব এবং ষড়যন্ত্র পরিচালনাকারী এই চক্র মুশতাক আহমেদকে নির্যাতন করে মারা হয়েছে বলে অনলাইনে প্রচার করছে। অথচ প্রকৃত সত্য হচ্ছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে মুশতাক আহমেদের।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে মুশতাক আহমেদকে প্রথমে কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।
মুশতাক আহমেদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কারাবন্দী হওয়ার আগে থেকেই তিনি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ নানাবিধ শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। এসব জটিলতার কারণেই তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছে কারা সূত্র।
হাসপাতাল মর্গে মুশতাক আহমেদের চাচাতো ভাই ডা. নাফিছুর রহমান বলেন, ‘মুশতাকের ময়না তদন্ত হয়েছে। আমাদের কোনো অভিযোগ নাই।’
যেখানে মুশতাক আহমেদের ভাইয়ের কোন অভিযোগ নেই সেখানে এই স্বাভাবিক মৃত্যুকে ভিন্নখাতে নিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে অপপ্রচার শুরু করেছে চিহ্নিত দেশবিরোধী তথাকথিত সাংবাদিক তাসনিম খলিল, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম এবং পিনাকী ভট্টাচার্য গং।
এই তাসনিম খলিল গংরা অতীতেও সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র প্রচার করেছে। সর্বশেষ আল জাজিরা টেলিভিশনের মাধ্যমে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা তথ্যের সমন্বয়ে একটি তথাকথিত তথ্যচিত্র বানিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করেছে তারা। কিন্তু ষড়যন্ত্রমূলক এই তথ্যচিত্র জনগণ প্রত্যাখ্যান করায় এবার তারা নতুন করে মুশতাক আহমেদের মৃত্যু নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
জানা গেছে, মহামারী করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যকে ম্লান করে দিতে গত বছর I am Bangladeshi ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অপপ্রচার শুরু করেন মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট কিশোরসহ তাসনিম-পিনাকী গংরা। তারা করোনা সম্পর্কে নানা মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। আন্তর্জাতিক মহলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এসব অপপ্রচার চালায় তারা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালায়। রাষ্ট্রবিরোধী এসব ষড়যন্ত্র করায় সেসময় গ্রেফতার হন মুশতাক আহমেদ এবং কিশোর।
সূত্র জানায়, আল জাজিরার অপপ্রচারে কাজ না হওয়ায় এখন নতুন করে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চক্রান্ত করছে পিনাকী- খলিল গংরা। সরকার পতনের নানা অপচেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়া দেশী-বিদেশী গোষ্ঠীর ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছে এই চক্র।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, সরকার পতনে এই চক্র আগেও নানা ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করেছে। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য দেশী-বিদেশী অপশক্তির কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এরা অপপ্রচার চালায়। এর আগে আল জাজিরার সাথে মিলেও এরা সরকার পতনের চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় আবার নতুন অপপ্রচারে নেমেছে। এদের অপপ্রচার থেকে দেশের জনগণকে সাবধান থাকারও আহবান জানান রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।