ডেস্ক নিউজ
মামলার প্রথম সাক্ষী মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসী আদালতে উপস্থিত হয়েছেন বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারপক্ষের কৌঁসুলি ফরিদুল ইসলাম।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শুরু হয়েছে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ।
এরই মধ্যে সোমবার সকাল ৯টা থেকে সাক্ষীরা আদালতে হাজির হয়েছেন বলে আদালতের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। সোমবার থেকে শুরু হয়ে টানা তিন দিন চলবে (২৫ আগস্ট পর্যন্ত) সাক্ষ্য নেয়া।
এ সময়ে মামলার ১ থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেবেন।
সেই সঙ্গে প্রধান আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়েছে।
মামলার প্রথম সাক্ষী মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসী আদালতে উপস্থিত হয়েছেন বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারপক্ষের কৌঁসুলি ফরিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে আলোচিত সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ। মামলার এক থেকে ১৫ নম্বর সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত হয়ে একে একে সাক্ষ্য দিবেন।
‘আর এ মামলার মোট সাক্ষী আছে ৮৩ জন। সবার সাক্ষ্য গ্রহণে সময় লাগবে ছয় মাসেরও বেশি।’
এর আগে গত সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল সাক্ষ্য গ্রহণের এ দিন ধার্য করেন।
সরকারপক্ষের কৌঁসুলি আইনজীবী ফরিদুল আরও জানান, গত ২৬ থেকে ২৮ জুলাই বাদীপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ থাকলেও লকডাউনের কারণে তা পিছিয়ে যয়।
পরে লকডাউন শিথিল ও আদালতের কার্যক্রম চালু হওয়ায় ২৩-২৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়।
মামলার সাক্ষীরা হলেন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস, সিনহার সঙ্গী সহিদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ, মো. আলী, আবদুল হামিদ, মো. ইউনুছ, ফিরোজ মাহমুদ, মহিবুল্লাহ, মো. আমিন, মো. কামাল হোসেন ও শওকত আলী।
এ ছাড়াও রয়েছেন রামু সেনা নিবাসের সার্জেন্ট আইয়ুব আলী, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দুই চিকিৎসক শাহীন আবদুর রহমান ও রনধীর দেবনাথ এবং হাফেজ জহিরুল ইসলাম।
কীভাবে নিহত হন সিনহা
২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে মেজর সিনহা নিহত হন পুলিশের গুলিতে। টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকতসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসী।
পরে গ্রেপ্তার করা হয় ঘটনার সময় আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের তিন সদস্যসহ পুলিশের তিন সোর্সকে।
চার মাসের ও বেশি সময় তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় তদন্তকারী সংস্থা র্যাব।
এর মধ্যে ১২ আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। গত ২৭ জুন মামলার ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।