নিউজ ডেস্ক:
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রশংসা কুড়াচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে সরকারের নির্দেশ মোতাবেক তা আরও জোরদার করা হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে আগামী ১১ অক্টোবর ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রশ্নপত্র তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে স্বস্তিতে রয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসন ও অভিভাবকরা।
জানা গেছে, কম্পিউটারে বিশেষ ধরণের সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রশ্নপত্র তৈরি হবে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও প্রিন্ট দেয়ার সময় বাইরের কোনো লোক থাকবে না। শুধু প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটির হাতেগোনা চার-পাঁচজন লোক সে সময় উপস্থিত থাকবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আবেদনকারীর প্রত্যেকের জন্য এক সেট করে প্রশ্ন প্রণয়ন করা হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর প্রশ্ন হবে ভিন্ন। ১০০টি প্রশ্ন থাকলেও কোন প্রশ্ন যে কোথায় বা কত নম্বরে থাকবে তা কোনো পরীক্ষার্থী বুঝতে পারবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, প্রশ্নপত্র প্রেসে ছাপানোর বদলে কম্পিউটারের বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরি ও প্রিন্ট দেয়ার বিষয়টি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় এবার প্রথম হলেও তারা ইতোমধ্যে ডেন্টাল, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ও ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) ভর্তি পরীক্ষায় এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে সফলতা এসেছে। এতে আমরাও কিছুটা স্বস্তিতে আছি। তবে অভিভাবকদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি সাড়া পাচ্ছি। তারা এমন পদক্ষেপে স্বস্তি প্রকাশ করছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, প্রেসে প্রশ্নপত্র ছাপা হলে বাইরের কমপক্ষে ১০-১৫ জন লোক প্রশ্নপত্র ছাপা, বাঁধাই ও সেলাইয়ের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন। সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা সত্ত্বেও তাদের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। এ সব কারণেই আমরা প্রেসের বদলে কম্পিউটার সফটওয়্যারে প্রশ্নপত্র ছাপানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সুযোগ নেই। পরীক্ষার্থীদের গুজবে কান না দিয়ে, প্রতারণার জালে পা না দিয়ে নিবিড়ভাবে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে নিজ যোগ্যতা প্রদর্শনের জন্য উপদেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরীক্ষামূলকভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়নে দেখা গেছে, অধিকতর স্বচ্ছতা ও গোপনীয়তা রক্ষা করে অল্প সময়ে প্রশ্নপত্র ছাপা যায়। প্রশ্নপত্রও হয় ভিন্ন ভিন্ন। ফলে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না।