রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালবাহী একটি জাহাজ মোংলা বন্দরের জেটিতে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) এই বিষয়ে জাহাজ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে এবং সামনে এই বন্দর ব্যবহারে অনীহাও প্রকাশ করেছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেশিনারি নিয়ে আসা পর্তুগাল পতাকাবাহী ইউ এইচ এল ফোকাস গত বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) ৯ নম্বর জেটিতে ভেড়ে। ওই সময় জেটির বাইরের অংশে প্যানাডার (রাবার প্রটেকশন) না থাকায় আঘাত ও ঘষার কারণে জাহাজটির বাইরের অংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট অলসিসের প্রতিনিধি সাখওয়াত মিলন জানান, ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখ করে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে জাহাজের ক্যাপ্টেন অভিযোগ করেছেন। একইসঙ্গে এই বন্দর ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে আরও একটি জাহাজ একই বন্দরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নাব্যতা সংকটের কারণে ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ এম ভি তুহিনা একই এলাকায় ডুবোচরে আটকে গেলে সেটি কাৎ হয়ে যায়। সেই সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় জাহাজটি। গত বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই জাহাজ কর্তৃপক্ষও বন্দরে অভিযোগ করেন।
এম ভি তুহিনা জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট আল-সাফার ম্যানেজার সাধন কুমার বলেন, ‘বন্দর জেটির সম্মুখভাগে সাত মিটার গভীরতা রয়েছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষের ঘোষণা রয়েছে। কিন্তু জাহাজটি সেখানে রাখার পর দেখা গেছে চার থেকে সাড়ে চার মিটার গভীরতা রয়েছে। যার ফলে ভাটার সময় জাহাজটি ডুবোচরে আটকে কাৎ হয়ে যায়। এ কারণে ওই জাহাজের ক্যাপ্টেন বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে লেটার অফ পোর্টেস্ট (অভিযোগ) দিয়েছেন।’
অভিযোগ পাওয়ায় বিষয়টি স্বীকার করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, ‘এম ভি তুহিনা জাহাজের ক্যাপ্টেন অভিযোগ দিয়েছেন তার জাহাজের তলদেশে মাটিতে আটকে যাচ্ছে ভাটার সময়। কিন্তু গত এক মাসে আরও যে জাহাজগুলো ছিল তারা এমন কোনও অভিযোগ করেননি।’
পর্তুগালের জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্তের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘প্যানাডার লাগানোর (রাবার প্রটেকশন) বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই অবস্থায় যতগুলো জাহাজ আসবে তারা একটু সমস্যায় পড়বে।’