ডেস্ক নিউজ
দেশের যোগাযোগ ও পরিবহন খাতের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বড় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ শেষ হতে যাচ্ছে আগামী বছর। আলোচিত পদ্মা সেতু আগামী জুনের মধ্যে চালু হবে। এর ফলে দেশের আটটি বিভাগই সরাসরি সড়ক যোগাযোগের আওতায় চলে আসবে। ঢাকাবাসী ইতিমধ্যে দেশের প্রথম মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল দেখেছে। আগামী বছরের শেষের দিকে এই ট্রেন যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম পাতালপথও (টানেল) চালুর কথা আগামী বছরের শেষে। বিশেষজ্ঞ মত হচ্ছে, দেশের আলোচিত এসব অবকাঠামো চালু হলে যোগাযোগ ও পরিবহন খাত নতুন যুগে প্রবেশ করবে।
সরকার ১০টি বড় প্রকল্পকে অগ্রাধিকারের তালিকায় (ফাস্ট ট্র্যাক) রেখেছে। এর মধ্যে যোগাযোগ খাতের প্রকল্পগুলো হচ্ছে: পদ্মা সেতু, পদ্মার দুই পারে রেলসংযোগ স্থাপন ও মেট্রোরেল প্রকল্প। কর্ণফুলী টানেল অগ্রাধিকারের তালিকায় না থাকলেও এটি বড় প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে এগুলো চালু করে ভোটে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করবে আওয়ামী লীগ।
এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে কর্ণফুলী টানেলের কাজই সময় মেনে এগিয়েছে। এখনো প্রকল্পের ব্যয় বাড়েনি। বাকি দুটি প্রকল্পই নির্ধারিত সময়ের কয়েক গুণ বেশি সময় লাগছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয়ও বেড়েছে তিনবার। পদ্মা সেতুকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ও সেতু নির্মাণে সরকার বিপুল বিনিয়োগ করেছে। সেতুটি সময়মতো চালু হলে মানুষ এর সুফল আগেভাগে পেত। এ ছাড়া যানজট থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত করার জন্য মেট্রোরেল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্মাণে সময়ক্ষেপণের কারণে ঢাকাবাসীকে যানজটের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাত বছর ধরে।
আশির দশকে দেশের যোগাযোগ খাতে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণের ধারা শুরু হয়েছিল। গত এক যুগে এই খাতে বিনিয়োগ আরও বেড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলের মতো ‘আইকনিক’ বা নতুন যুগে প্রবেশের স্মারক অবকাঠামোগুলো চালু হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
পদ্মা সেতু এখন পূর্ণতার পথে
পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্ধারিত সময় আগামী বছরের জুনে। সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য এখন পিচঢালাই চলছে। এরপর আলোকসজ্জার কাজ করতে হবে। এর বাইরে গ্যাস পাইপলাইন বসানোর কাজ চলমান। গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর মধ্যে মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ৯৫ শতাংশ।
পদ্মা সেতু নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয় ২০০৫ সালে। প্রকল্প নেওয়া হয় ২০০৭ সালে। ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। কিন্তু নানা জটিলতায় সাত বছর পর মূল সেতুর কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। চার বছরের সময়সীমা ধরা ছিল। কিন্তু সময়মতো বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। সময়মতো কাজ না হওয়ার পেছনে পদ্মা নদীর অননুমেয় রূপ, বন্যায় ভাঙন, করোনা পরিস্থিতিকে দায়ী করা হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে সেতুর সর্বশেষ স্টিলের কাঠামো বা স্প্যান বসানোর পর মূলত কারিগরিভাবে জটিল কাজ শেষ হয়। যুক্ত হয় মুন্সিগঞ্জের মাওয়া এবং শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত।
প্রকল্পের কাজের জটিল প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলতে গিয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, এই সেতু ঘিরে তিনটি বিশ্ব রেকর্ড হয়েছে। পদ্মা সেতুর খুঁটির নিচে সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীরে স্টিলের পাইল বসানো হয়েছে। এসব পাইল তিন মিটার ব্যাসার্ধের। বিশ্বে এখনো পর্যন্ত কোনো সেতুর জন্য এত গভীরে পাইলিং প্রয়োজন হয়নি এবং মোটা পাইল বসানো হয়নি। ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পেতে এই সেতুতে ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিংয়ের’ সক্ষমতা হচ্ছে ১০ হাজার টন। এখন পর্যন্ত কোনো সেতুতে এমন সক্ষমতার বিয়ারিং লাগানো হয়নি। রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে টিকে থাকার মতো করে পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। নদীশাসনে চীনের ঠিকাদার সিনোহাইড্রো করপোরেশনের সঙ্গে ১১০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছে। এর আগে নদীশাসনে এককভাবে এত বড় দরপত্র আর হয়নি।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের শুরু থেকে নানা চ্যালেঞ্জ পার করতে হয়েছে। এখন বড় কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। জুনে চালু হবে ধরে নিয়েই কাজ এগোচ্ছে।
সমীক্ষায় এসেছে, এই সেতু দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯ জেলাকে ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে যুক্ত করবে। সেতুটি চালু হলে দেশের জিডিপির হার বাড়াবে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়াবে ২ দশমিক ৩ শতাংশ।
পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিবছর কী পরিমাণ যানবাহন চলাচল করবে, তা নিয়ে ২০০৯ সালে একটি বিস্তারিত সমীক্ষা করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এতে দেখা যায়, ২০২২ সালের শুরুতে যদি পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়, তাহলে ওই বছর প্রতিদিন সেতু দিয়ে চলাচল করবে প্রায় ২৪ হাজার যানবাহন। ২০৫০ সালে যা দাঁড়াবে প্রায় ৬৭ হাজার।
সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হলে পণ্যবাহী যানবাহনের একটা বড় অংশ হবে ভারতের। দেশটির পশ্চিমাংশ থেকে পূর্বাংশে মাল পরিবহন হবে এই পথে। নেপাল ও ভুটানকেও সেতুটি যুক্ত করতে পারবে। এতে আন্তবাণিজ্য বাড়বে।
পদ্মা সেতু চালুর পর এর পূর্ণ সদ্ব্যবহার এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গত এক দশকে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেললাইন বসাতে ৩৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলমান আছে। ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত সেতুর দুই প্রান্তে ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ শেষ হয়েছে। সেতু চালু হলে সড়কপথে এই পথ পাড়ি দিতে ১ ঘণ্টা লাগবে বলে সরকার জানিয়েছে। এখন ফেরিতে পদ্মা পার হতেই ২-৩ ঘণ্টা লাগে।
পানির নিচে কর্মযজ্ঞ, দেশে প্রথম
কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রাম শহরকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। এক ভাগে রয়েছে নগর ও বন্দর এবং অন্য ভাগে রয়েছে ভারী শিল্প এলাকা। কর্ণফুলী নদীর ওপর ইতিমধ্যে তিনটি সেতু নির্মিত হয়েছে। তবে তা যানবাহনের চাপ সামলাতে যথেষ্ট নয়। এর বাইরে কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, একে ঘিরে পর্যটন বাড়ছে। এর মধ্যে মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। মাতারবাড়ীতে চলছে গভীর সমুদ্রবন্দর ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজ। সব মিলিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে। চট্টগ্রামে বে-টার্মিনাল হবে। কর্ণফুলী নদীর এই দুই পারের কর্মযজ্ঞ বিবেচনায় নিয়ে নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়, যা চট্টগ্রাম শহর ও আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করবে।
২০১৪ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও চীনের সরকারি পর্যায়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। নকশা ও অন্যান্য কাজ শেষে ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ব্যয় হচ্ছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। নির্মাণাধীন দেশের প্রথম টানেলের নামকরণ করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। এটি দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী যানবাহনকে আর চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করতে হবে না। সিটি আউটার রিং রোড হয়ে টানেলের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। এতে চট্টগ্রাম শহরে যানবাহনের চাপ কমে যাবে।
কর্ণফুলী টানেলের কাজের অগ্রগতি ৭৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এই টানেলটিতে দুটি টিউবের মাধ্যমে আসা-যাওয়ার পথ আলাদা থাকবে। ইতিমধ্যে একটি টিউবের কাজ শেষ হয়েছে। অন্যটির কাজ চলমান আছে। চুক্তি অনুসারে, আগামী ডিসেম্বরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মধ্যেই কাজটি শেষ করা যাবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন।
উড়ালপথে মেট্রোরেল দেখেছে ঢাকাবাসী
রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৭২ শতাংশ। এই প্রকল্প দুই পর্বে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ আগামী বছরের ডিসেম্বরে চালু করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এই অংশে ভৌত কাজের অগ্রগতি ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। এই পথে চলাচলের জন্য কেনা ছয় সেট ট্রেন (এক সেটে ছয়টি কোচ) জাপান থেকে বাংলাদেশে এসেছে। গত মাসে এই ট্রেনের পরীক্ষামূলক (পারফরম্যান্স টেস্ট) চলাচল শুরু হয়েছে, যা চলবে ছয় মাস। এরপর তিন মাস ধরে চলবে সমন্বিত পরীক্ষামূলক (ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট) চলাচল। পরের পাঁচ মাসে চূড়ান্ত পরীক্ষামূলক চলাচল (ট্রায়াল রান) সম্পন্ন হবে। অর্থাৎ আগামী বছরের ডিসেম্বরে যাত্রী নিয়ে চলাচলের জন্য প্রস্তুত থাকবে ট্রেন।
২০১৮ সালে বুয়েটের করা এক সমীক্ষায় এসেছে, রাজধানীতে যানবাহনের ঘণ্টায় গতিবেগ গড়ে ৫ কিলোমিটার। অর্থাৎ হাঁটা গতি। ১২ বছর আগেও এই গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকার ফলে যাত্রীদের মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে। এই চাপ আবার কাজ করছে অন্যান্য রোগের উৎস হিসেবে। যানজটের কারণে শুধু ঢাকায় দৈনিক ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, যার আর্থিক ক্ষতি বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা।
এই পরিস্থিতিতে ঢাকার কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (এসটিপি) ২০২৪ সালের মধ্যে ঢাকায় তিনটি, ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি পথে মেট্রোরেল চালুর সুপারিশ করা হয়েছিল। এর মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পথটির নাম এমআরটি লাইন-৬। যার কাজ চলমান। বাকি পথগুলোর নির্মাণকাজ শুরু হয়নি।
মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, আগামী বছরের ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে। ঢাকায় আরও তিনটি মেট্রোরেল পথ নির্মাণে কাজ এগোচ্ছে।
এমআরটি লাইন-৬–এর দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১৬টি স্টেশন থাকছে। এই পথে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে মতিঝিলে যেতে লাগবে ৩৮ মিনিট। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা দিচ্ছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকা। বাকিটা সরকার বহন করছে। শুরুতে দিনে ৪ লাখ ৮৩ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। ২০৩৫ সালে যাত্রীসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৮ লাখের বেশি।
অর্থনীতির গতি বাড়াবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সামছুল হক বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও টানেলকে আইকনিক অবকাঠামো বলা যায়, যা রূপান্তরকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এগুলো চালু হলে দেশের মর্যাদায় ভিন্নমাত্রা যোগ করবে। যোগাযোগে স্বাধীনতা দেবে, অর্থনীতির গতি বাড়াবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে অধ্যাপক সামছুল হক বলেন, সেতুটি চালু হলে বাংলাদেশ ছাড়াও আশপাশের দেশগুলোর ব্যবহারে লাগবে। বাংলাদেশ এ থেকে আয় করতে পারবে। একই কথা প্রযোজ্য কর্ণফুলী টানেলের ক্ষেত্রে। সরকার রেলের মাধ্যমে কক্সবাজারকে যুক্ত করছে। কক্সবাজারকে জ্বালানি হাব হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
মেট্রোরেল সম্পর্কে অধ্যাপক সামছুল হক বলেন, গণপরিবহন খাতে যত বৈচিত্র্য আছে, এর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মাধ্যম হচ্ছে মেট্রোরেল। এটি একটি সংস্কৃতি। শহরে জলাবদ্ধতা, যানজট, আন্দোলনের কারণে অচল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মেট্রো লাইফলাইন হিসেবে চালু থাকবে। তিনি বলেন, একটা মেট্রোলাইন দিয়ে হয়তো পুরো ঢাকার চাহিদা মিটবে না। তবে একবার চালু হলে এর সুফল মানুষ পাবে। তখন দ্রুত আরও লাইন নির্মাণের চাপ আসবে মানুষের কাছ থেকে।