ডেস্ক নিউজ
আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের দক্ষতা উন্নয়ন এবং নিরাপত্তার উন্নতির মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা হবে। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্য ১৪ দশমিক ৩ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রতি ডলার ৮৬ টাকা হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ২২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
রপ্তানি উন্নয়ন ও কার্গো ক্লিয়ারেন্স জোরদার করতেও এই ঋণ ব্যবহার করতে পারবে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় এডিবির প্রধান কার্যালয়ে এই অর্থ অনুমোদন করা হয়।
রপ্তানির গুণগত মান উন্নয়ন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতায় এই ঋণ ব্যবহার করা হবে। সীমান্ত সংস্থা ও বেসরকারি স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে আরও ভালো সমন্বয়ের মাধ্যমে বাণিজ্যের উন্নয়ন করা হবে। এর মাধ্যমে রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে বাণিজ্য সুবিধার কৌশলগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
এডিবির প্রিন্সিপাল ইকোনমিস্ট তাদাতেরু হায়াশি বলেন, শিল্পায়ন এবং বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য এডিবি সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।
প্রোগ্রামটি দেশের রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র আনতে এবং গন্তব্যে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। রপ্তানির জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা হবে। দক্ষিণ এশিয়ার উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা, দেশগুলোর মধ্যে উপ-আঞ্চলিক ব্যবসা-বাণিজ্যকে সহজতর করবে।
এর মধ্যে ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আখাউড়া, সোনামসজিদ এবং তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যবহার করবে বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি।
সমন্বিত স্থল শুল্ক স্টেশন এবং স্থলবন্দর নির্মাণে ব্যবহার করা হবে। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স এবং কার্গো ট্রান্সশিপমেন্ট অপারেশনের জন্য অবকাঠামো সুবিধা এবং সরঞ্জামও ইনস্টল করা হবে।
এডিবি তার প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে বিশেষ ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন অনুদান দেবে। যাতে শুল্ক আইনি কাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং সীমান্ত সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন, কেন্দ্রীয় শুল্ক সুবিধাগুলোর একটি কার্যকরীকরণ পরিকল্পনা তৈরি করা যায়। আধুনিক শুল্ক কার্যক্রম বাস্তবায়নে এনবিআরের সক্ষমতা জোরদার করা হবে। এনবিআর এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রকল্প বাস্তবায়ন ক্ষমতা তৈরি করা হবে এডিবি ঋণে।