বয়ফ্রেন্ডকে মোবাইলে লাইভে রেখে দিলশাদ নাহার আঁচল (১৮) নামে এক বেসরকারি বিদ্যালয় শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আঁচলের মামা কাওছার জানান, দিলসাদ নাহার সাভারে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশন ডিজাইনে পড়তো। পরিবারের সঙ্গে নিজেদের ফ্ল্যাটে খিলক্ষেত এলাকার পশ্চিম কাওলায় থাকতো সে।
তিনি বলেন, “জীবন থেকে সাফাকাত নামে ছেলের সাথে বন্ধুত্ব ছিল দিলশাদের। ওই ছেলেটিও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে মোবাইলে ভিডিও কলে দু’জনের কথা হচ্ছিলো। একপর্যায়ে তাকে ভিডিও কলে রেখেই গলায় ফাঁস দেয় দিলশাদ।”
তিনি আরও বলেন, “ছেলেটা বিষয়টি জানিয়ে দিলশাদের বড় বোন শামসুন্নাহার প্রীতির মোবাইলে রাতেই কয়েকটি মেসেজ ও ছবি পাঠিয়েছে। তবে শামসুন্নাহার ঘুমিয়ে পড়েছিল। যখন সে মেসেজটি দেখতে পায় এবং দ্রুত গিয়ে দরজা খুলে দিলশাদকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
বড় বোন শামসুন্নাহার বলেন, আমি ঘুমানো আগে দেখলাম দিলশাদ মোবাইলে ঝগড়া করছে। তখন বিষয়টি বুঝতে পারিনি। ভেবেছিলা হয়তো কোনো বন্ধুর সাথে এমন করছে। পরে আমি ঘুমিয়ে পড়ি।
এদিকে, দিলশাদের মামা কাওছারের অভিযোগ, “ঐ ছেলেটিই দিলশাদের মৃত্যুর আসল কারণ জানে।” তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, “ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।”