ডেস্ক নিউজ
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য ৮০ কোটি ডলারের তহবিল চাওয়া হবে। তহবিলের এ অর্থ দিয়ে কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থানরত ৯ লাখ রোহিঙ্গার পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবাসহ জরুরি চাহিদা মেটানো হবে। জাতিসঙ্ঘের সংস্থা ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর মাধ্যমে তহবিলের অর্থ ব্যবহার করা হবে।
তহবিল সংগ্রহ উপলক্ষে আজ জেনেভায় জয়েন্ট রেসপন্স প্লানের (জেআরপি) সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যান্টনিও ভিটোরিনো এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম যৌথ আয়োজক হিসেবে এতে বক্তব্য রাখবেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, জার্মানি, নরওয়ে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কাতারের প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত থাকবেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর রাখাইনে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর জাতিগত নিধন অভিযান থেকে রক্ষা পেতে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। এ ছাড়া আগে থেকেই প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে ছিল। এ সব রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে গিয়ে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত ক্ষতির মুখে পড়ে। এরই প্রেক্ষাপটে ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর জেআরপি সম্মেলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে দীর্ঘমেয়াদে তহবিলের পরিমাণ ধরে রাখাটা একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ব্যাপক উদ্বাস্তুর স্রোত এবং তালেবানদের ক্ষমতা দখলের পর আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার কারণে আফগানিস্তানে মানবিক সঙ্কট রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রমকে আরো চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। কেননা চলমান অন্যান্য সঙ্কটকে মোকাবেলায়ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অর্থের জোগান দিতে হচ্ছে।
চলতি বছর কক্সবাজারের পাশাপাশি ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য জেআরপিতে তহবিল বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিতে ইউএনএইচসিআরের সাথে সরকারের চুক্তি হয়েছে।