মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে, সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম কালিদাসেরবাগ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে, স্থানীয় মুসলিমাবাদ তা’লীমুল কোরআন ইসলামি একাডেমি ভবনে মৌলভী মোবারক হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয়রা। এসময় খবর পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে ৬ জন ভিকটিমদের উদ্ধারসহ অভিযুক্ত মোবারক হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ভিকটিম এক ছাত্রের মা বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত মোবারক হোসেন সদর উপজেলার মুসলিমাবাদ তা’লীমুল কোরআন ইসলামী একাডেমীর পরিচালক এবং রায়পুর উপজেলার চর কাচিয়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক মোবারক হোসেন অন্তত ৬ জন শিশু ছাত্রকে একাধিকবার বলাৎকার করেছে। এ বিষয়টি গোপন রাখতে তিনি ছাত্রদের ভয়ভীতি দেখিয়ে শপথ করান এবং তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। সম্প্রতি এক শিশুর পায়ুপথ দিয়ে রক্ত বের হওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ২০১৮ সালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম কালিদাসেরবাগ এলাকায় মুসলিমাবাদ তা’লীমুল কোরআন ইসলামি একাডেমি নামে একটি প্রাইভেট মাদ্রাসা চালু করেন মোবারক হোসেন। তিনি স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করার পাশাপাশি এ মাদ্রাসাটি চালু করেন। এখানে ৩০ জন ছাত্র আবাসিকে থেকে পড়ালেখা করে আসছিলো।
বলাৎকারের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন মাদ্রাসাটি বন্ধ ঘোষণা করে এবং ছাত্রদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিমতানুর রহমান বলেন, একাধিক শিশু ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মোবারক হোসেন নামে একটি বেসরকারি মাদ্রাসার পরিচালক ও মৌলভীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।