ডেস্ক নিউজ
গ্রামের মানুষকেও করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনতে শনিবার থেকে দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সাত দিনের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে একদিনই কোভিড টিকা দেওয়া হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড টিকা দেওয়ার পরিকল্পানা সাজানো হয়েছে।
শুক্রবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কোভিড-১৯ টিকা বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ৬ থেকে ১২ নভেম্বর এই কর্মসূচিতে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে কোভিড-১৯ টিকাদান ক্যাম্পেইন চলবে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া যাবে।
দেশের ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে এই বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
“ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যেই এ ক্যম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাই টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। তবে বয়স্ক ও নারীরা অগ্রাধিকার পাবেন।”
এই বিশেষ টিকাদান কর্মসূচিতে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হবে। আগামী মাসের একই সময়ে দেওয়া হবে এ টিকার দ্বিতীয় ডোজ।
এর আগেও দুটি বিশেষ কর্মসূচিতে কমিউনিটি ক্লিনিকে টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রথম কর্মসূচিতে ৭ অগাস্ট প্রথম ডোজ দেওয়ার পর ৭ সেপ্টেম্বর দেওয়া হয় দ্বিতীয় ডোজ।
আর প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর হয় দ্বিতীয় কর্মসূচি। সে সময় যারা প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, ২৮ ও ৩০ অক্টোবর তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, আগামী সাত দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে টিকা দেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত টিকাদান চলবে। পাশাপাশি ঢাকার নির্ধারিত স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়াও অব্যাহত থাকবে।