সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব দেওয়া শিক্ষকদের চূড়ান্ত তালিকা যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) পাঠানো হবে। পিএসসি অনুমোদন দিলেই চূড়ান্ত তালিকা ধরে প্রধান শিক্ষক হিসেবে তাদের পদোন্নতি দেওয়া হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘এটি চলমান প্রক্রিয়া। ইতোমধ্যে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিজি অফিসকে বলা হয়েছে যারা যোগ্য তাদের তালিকা পাঠানোর জন্য। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির করা হয়েছে। তাই পদোন্নতি দিতে পিএসসির সুপারিশ লাগবে। আমরা চেকলিস্ট করে দিয়েছি। সেই চেকলিস্ট অনুযায়ী কাগজপত্র পাঠাতে বলা হয়েছে। ডিজি অফিস কাগজপত্র পাঠালে এবং কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আমরা পিএসসিতে পাঠাব। পিএসসি অনুমোদন দিলে পদোন্নতি দেওয়া হবে।’
দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৯৯টি। এছাড়া তিনটি ধাপে নিবন্ধিত ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে যেগুলোতে প্রধান শিক্ষক নেই, সেসব বিদ্যালয়ে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সহকারী শিক্ষকদের। বর্তমানে চলতি দায়িত্বে রয়েছেন ১৮ হাজার শিক্ষক। এছাড়া নতুন সরকারি হওয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া প্রায় এক হাজার শিক্ষক সহকারী শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়েছেন। এসব শিক্ষকও প্রধান শিক্ষক হিসেবে গ্রেডেশন পেতে উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল গফুর বলেন, ‘নতুন সরকারি হওয়া ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয়ের মধ্যে চলতি দায়িত্ব পাওয়ার যোগ্য প্রায় এক হাজার শিক্ষক প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্ত হতে পারেননি। আমরা গ্রেডেশনের জন্য হাইকোর্টে মামলা করেছি।’
আব্দুল গফুর তাদের দাবি তুলে ধরে বলেন, ‘৫০ শতাংশ কার্যকাল গণনা করে চাকরি গ্রেডেশন তালিকা করতে হবে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত তাদের গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। হাইকোর্টের মামলায় আমাদের পক্ষে রায় পেয়েছি। মামলায় নতুন সরকারি হওয়া বিদ্যালয়ে বৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া এবং উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদন পাওয়া শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করেছে। মামলাটি চলমান।’